
|
একটুকরো জানাজা অভিজ্ঞতা
প্রকাশ:
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:১৪ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
আরিফ আজাদ আজকের ঐতিহাসিক জানাজার সালাতে আমিও হাজির হতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ। ঠিক মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে পড়তে পারিনি যদিও, আমরা জায়গা পেয়েছি তারচেয়ে কিছু দূরে—রাস্তার উপরে। রাস্তায় গাদাগাদি করে দাঁড়ানো লোকজন। একজন পারলে অন্যজনের গায়ের উপর উঠে পড়ে—এমন অবস্থা। জানাজা হওয়ার কথা ছিল দুপুর দুইটায়। কিন্তু নানান ব্যক্তিবর্গের বক্তৃতার কারণে দুপুর গড়িয়ে তিনটে বেজে গেলেও জানাজা শুরু না হওয়ায় লোকজন অস্থির হয়ে উঠছিল। বক্তাগণ স্টেজে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের ত্যাগ, কর্ম আর অর্জনের ইতিহাসগুলো উল্লেখ করছিলেন। আমার আশেপাশের লোকেরা তখন বলছিলেন, ‘এইসব ইতিহাস তো আমরা সকলেই জানি। জানাজায় আসা লোকজন বেগম জিয়াকে চিনে, তার ত্যাগের ইতিহাস জানে বলেই তো তারা দলে দলে জানাজায় এসেছে। এসব নতুন করে বলার তো কিছু নেই।’ অনেকে সায় দিলেন। আজকে শৈত্যপ্রবাহও সেভাবে ছিল না৷ দুপুর নাগাদ বেশ ঝলমলে রোদ ছিল আকাশে। ফলে গরমও লাগছিল ভালো রকম। তাই লোকজনের এই অধৈর্য হয়ে উঠা কিছুটা স্বাভাবিকই। এরপর মাইকে ঘোষণা এলো, জিয়া পরিবার এবং দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখবেন জিয়া দম্পতির জেষ্ঠ্য পুত্র, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান। তখন আমার কেন যেন মন বলছিল—জনাব তারেক রহমান তার বক্তব্যকে মোটেই দীর্ঘায়িত করবেন না। ঠিক হলোও তাই। তারেক রহমান এক মিনিট এক সেকেন্ডের মধ্যে তার বক্তব্য শেষ করলেন এবং বক্তব্যে রাজনৈতিক একটা অক্ষরও উচ্চারণ করলেন না। উনার বক্তব্য শেষ হওয়া মাত্রই খানিক আগের অস্থিরচিত্ত লোকজন বলে উঠল—এই তো! এইটা হইল নেতা! আমি চাক্ষুষ সাক্ষী হয়ে থাকলাম—সাধারণ মানুষগুলো কীভাবে মেজর জিয়া আর খালেদা জিয়ার আসনে জনাব তারেক রহমানকে বসাতে শুরু করেছে... লেখক: দাঈ, বিশ্লেষক ও গ্রন্থ প্রণেতা আরএইচ/ |