
|
জানাজা নামাজের নিয়ম ও দোয়াসমূহ
প্রকাশ:
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৩ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
মানবজীবনে মৃত্যু এমন এক বাস্তবতা, যার মুখোমুখি সবাইকেই হতে হবে। আজ না হোক কাল সবাইকে কবরে যেতে হবে। আমাদের অনেকের মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন মারা গেছেন। কিন্তু জানাজার নামাজ পড়তে গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই সঠিকভাবে জানাজার দোয়া পড়তে পারেন না। তাই নিচে জানাজার নামাজের দোয়াসহ বিস্তারিত তুলে ধরছি। জানাজার নামাজের আরবি নিয়ত : নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা আবশ্যক নয়। মনে মনে নিয়তই যথেষ্ট, তার পরও কউ যদি মুখে উচ্চারণ করে আরবি নিয়ত বলতে চান তাহলে নিচের نَوَيْتُ اَنْ اُؤَدِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ تَكْبِيْرَاتِ صَلَوةِ الْجَنَا زَةِ فَرْضَ الْكِفَايَةِ وَالثَّنَا ءُ لِلَّهِ تَعَا لَى وَالصَّلَوةُ عَلَى النَّبِىِّ وَالدُّعَا ءُلِهَذَا الْمَيِّتِ اِقْتِدَتُ بِهَذَا الاِْمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ উচ্চারণ: "নাওয়াইতু আন উয়াদ্দিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবা আ তাকবীরাতে ছালাতিল জানাজাতে ফারজুল কেফায়াতে আচ্ছানাউ লিল্লাহি তায়ালা ওয়াচ্ছালাতু আলান্নাবীয়্যে ওয়াদ্দোয়াউ লেহাযাল মাইয়্যেতে এক্কতেদায়িতু বিহাযাল ইমাম মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতে আললাহু আকবার।" এখানে নিয়তে ‘লেহাযাল মাইয়্যেতে’ পুরুষ/ছেলে লাশ হলে পড়তে হবে, আর লাশ নারী/মেয়ে হলে ‘লেহাযিহিল মাইয়্যেতে’ বলতে হবে। মনে রাখবেন, নিয়ত আরবিতে করতে না পারলে বাংলায় করলেও চলবে : "আমি চার তাকবিরের সহিত ফরজে কিফায়া জানাজার নামাজ কিবলামুখী হয়ে ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে মরহুম ব্যক্তির (পুরুষ/মহিলার) জন্য দোয়া করার উদ্দেশ্যে আদায় করছি। আল্লাহু আকবার।" মূলত মনে মনে বলাটাই হলো নিয়ত। কাতারবদ্ধ হয়ে ইমামের পেছনে দাঁড়ানোর পর নিয়ত করে প্রথম তাকবিরের পর ছানা পাঠ। হাত উঠানো : জানাজা নামাজে শুধু প্রথম তাকবিরে হাত উঠাবে। এরপর আর কোনো তাকবিরে হাত ওঠানোর বিধান নেই। سُبْحَا نَكَ اَللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَا لَى جَدُّكَ وَجَلَّ ثَنَاءُكَ وَلَا اِلَهَ غَيْرُكَ বাংলা উচ্চারণ : দুরুদ শবিফ : اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى اِبْرَا هِيْمَ وَعَلَى اَلِ اِبْرَ اهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ- اَللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى اَلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى اِبْرَا هِيْمَ وَعَلَى اَلِ اِبْرَا هِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌمَّجِيْدٌ উচ্চারণ: দুরুদ শরিফ পড়ার পর তৃতীয় তাকবির আদায় করে জানাজার মূল দোয়া পড়তে হয়। জানাজার নামাজের মূল দোয়া : اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلحَيِّنَاوَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا وَذَكَرِنَا وَاُنْثَا نَا اَللَّهُمَّ مَنْ اَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَاَحْيِهِ عَلَى الاِسْلاَمِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الاْيمَانِ بِرَحْمَتِكَ يَا ارْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ উচ্চারণ: তবে নাবালক ছেলের ক্ষেত্রে জানাজার দোয়া পড়তে হবে, اَللَّهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرْطًا وْاَجْعَلْهُ لَنَا اَجْرًا وَذُخْرًا وَاجْعَلْهُ لَنَا شَافِعًا وَمُشَفَّعًا উচ্চারণ: নাবালিকা মেয়ের ক্ষেত্রে জানাজার দোয়া পড়তে হবে, اللَّهُمَّ اجْعَلْهَا لَنَا فَرْطًا وَاجْعَلْهَا لَنَا اَجْرًا وَذُخْرًاوَاجْعَلْهَا لَنَا شَافِعَةً وَمُشَفَّعَة উচ্চারণ : উল্লেখ্য, যদি কারো নামাজে আসতে দেরি হয়ে যায়, তবে ইমাম সাহেবকে অনুসরণ করতে হবে। সম্ভব হলে চার তাকবীর আদায় করে নিতে হবে, তা যদি সম্ভব না হয়, তবে ইমাম সাহবকে অনুসরণ করে সালাম ফিরিয়ে নিয়ে জানাজা নামাজ সম্পন্ন করবেন। জানাজা নামাজ জামাতে আদায় করতে হয়,তাই এটি কাজা পড়ার সুযোগ নেই। জানাজার জরুরি মাসায়েল: মাসআলা : ছানা, দরূদ ও দুআর পরে যে আরো তিনবার তাকবীর বলতে হয় তখন ইমাম ও মোক্তাদীর হাত বাঁধা থাকবে। তথ্যসূত্র: এনএইচ/ |