তারেক রহমানের ফেরা ঘিরে রাজধানীতে যানজট, ভোগান্তি
প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:১০ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচি ও গণসংবর্ধনা কেন্দ্র করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যান চলাচল ব্যাপক হারে বিলম্বিত হয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ পথচারী, অফিসগামী মানুষ, শিক্ষার্থী ও দূরপাল্লার যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, রামপুরা, বাড্ডা এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পাওয়া যায়।

সকাল থেকেই পল্টন, রামপুরা ও বাড্ডা এলাকায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। বাস, মিনিবাস, লেগুনা কিংবা সিএনজি—কোনো ধরনের গণপরিবহনই এসব এলাকায় পাওয়া যায়নি। অনেক স্থানে রিকশাও চলাচল বন্ধ ছিল। এতে বাধ্য হয়ে মানুষ দীর্ঘ পথ হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

চোখে পড়েছে দূরপাল্লার যাত্রীদের দুরাবস্থা। ট্রলি ব্যাগ হাতে বা কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে অনেককে হেঁটেই সড়ক পার হতে দেখা গেছে। কখন কোথায় গাড়ি পাওয়া যাবে— এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য না থাকায় যাত্রীরা পড়েছেন অনিশ্চয়তা ও আতঙ্কে। কেউ কেউ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের কারণে কোথাও কোথাও পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবার যান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। অনেক পথচারী জানান, কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটে গিয়ে তারা শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করছেন।

রামপুরা এলাকার এক অফিসগামী যাত্রী রায়হান ইসলাম বলেন, সকাল থেকে কোনো বাস পাইনি। অফিসে পৌঁছাতে তিন ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে। আগে জানলে আজ বেরই হতাম না।

অন্যদিকে বাড্ডা থেকে পল্টনগামী এক শিক্ষার্থী বলেন, কোচিংয়ে পরীক্ষা ছিল। গাড়ি না পেয়ে হেঁটে যেতে হয়েছে। এত ভিড় আর জ্যামে ভয়ও লাগছিল।

তারেক রহমানের সংবর্ধনায় অংশ নিতে ভোলা থেকে আসা মাকসুদুর রহমান বলেন, সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছি। এখন রাজধানীর ৩০০ ফিটে যাবার কথা। কিন্তু গাড়ি না পেয়ে ভেঙে ভেঙে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, আজ বড় কর্মসূচি থাকায় জনসমাগম অনেক বেশি। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কিছু সড়কে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ধীরে ধীরে যান চলাচল চালু করা হবে।

আরএইচ/