আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে ‘মামলা না থাকলেও’ গ্রেপ্তারের নির্দেশ
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৮:১৮ রাত
নিউজ ডেস্ক

আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে মামলা না থাকলেও তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তাদের আইনের আওতায় না আনলে পুলিশের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

বুধবার বিকালে নারায়ণগঞ্জে বিকেএমইএ ভবনে এক অনুষ্ঠান শেষে ছাত্র-জনতার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশকে এমন নির্দেশনা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে বিকেএমইএর পক্ষ থেকে জেলা পুলিশ ও শিল্প পুলিশকে তিনটি করে ছয়টি গাড়ি উপহার দেওয়া হয়। সেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও ছিলেন।

ফেরার পথে তার পথ আটকে দেন ছাত্রনেতারা। তারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার, আওয়ামী লীগ, ওসমান পরিবারের সদস্য এবং তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তার, সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো, ওসমান হাদির ওপর হামলার মূল আসামিকে গ্রেপ্তার, থানা ও আদালতকে রাজনৈতিক বলয়মুক্ত রাখাসহ সাত দফা দাবি জানান।

এ সময় জাতীয়তাবাদী বৈষম্যবিরোধী, ছাত্রদল, জাতীয় ছাত্রশক্তি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন- এনজিবি এবং ‘ওয়ারিয়র্স অব জুলাই’ নামে সংগঠনগুলোর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

দাবির পক্ষে ‘যৌক্তিকতা’ তুলে ধরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এসব দাবি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এ সময় ছাত্রনেতারা পুলিশ ‘মামলা নেই’ বলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করছে না বলে দাবি করেন। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সীকে সামনে ডেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আওয়ামী লীগের যারা সন্ত্রাসী, তার বিরুদ্ধে মামলা আছে কিনা সেইটা দেখার কোনো ব্যাপার নাই।

“তাদের সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় নিয়ে আসবা। আর আইনের আওতায় না আসতে পারলে তোমাদের বিরুদ্ধেও কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হব”

ঢাকা গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির সুস্থতা কামনায় দোয়া চেয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হলেও তার ব্যবহৃত ‘হাতিয়ার’ উদ্ধার করা হয়েছে।

“ওর সঙ্গে যে আরেকজন ছিল তাকে গ্রেপ্তার করেছি, রিমান্ডেও নিয়েছি। বাকি কাজও আস্তে আস্তে আমরা করতে পারব”, বলেন তিনি।

সম্প্রতি লুট হওয়া এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ‘আলু-পেঁয়াজ নিয়ে বক্তব্যের’ বিষয়েও প্রশ্ন রাখেন ছাত্র নেতারা। উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, “ওইটা কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠান ছিল বলে ওই মন্ত্রণালয়ের প্রবলেমগুলো এবং কৃষকদের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলাম। অন্যান্য যেসব সমস্যা তা নিয়ে প্রতি সপ্তাহে আমরা সাংবাদিকদের নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বসি।”

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, শিল্প পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি গাজী জসিম উদ্দিন, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক ও শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন, “আমাদের অভিযান অলরেডি চলছে, চেকপোস্ট রয়েছে।

আরএইচ/