
|
জানুয়ারিতে মুফতি তাকী উসমানীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা জানা গেল
প্রকাশ:
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:১৪ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
বিশেষ প্রতিনিধি পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলেম ও মুসলিম বিশ্বের খ্যাতিমান স্কলার মুফতি মুহাম্মদ তাকী উসমানী আগামী জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে। সপ্তাহখানেকের সফরে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাঁর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে তাঁর সফরের সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে- নিরাপত্তাজনিত কারণে তিনি বাংলাদেশ সফর ক্যানসেল করেছেন। কিন্তু আওয়ার ইসলামের পক্ষ থেকে খোঁজ নিয়ে এ ধরনের সংবাদের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত মুফতি তাকী উসমানীর বাংলাদেশ সফরের শিডিউল ঠিক আছে। তবে দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে এবং নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেটা ভিন্ন কথা। তখন হয়ত বিকল্প ভাবা লাগতে পারে। পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন ও জিও নিউজের সূত্র উল্লেখ করে যে সংবাদ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এর কোনো সত্যতা নেই। এসব গণমাধ্যমে এ ব্যাপারে কোনো সংবাদ পরিবেশন করেনি। মুফতি তাকী উসমানীকে বাংলাদেশে আনার ক্ষেত্রে প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট আলেমে দীন, শায়খ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, প্রধান মুফতি ও শাইখুল হাদিস মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ। তিনি আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছেন, মুফতি তাকী উসমানীর বাংলাদেশ সফর বাতিল বলে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে এর কোনো সত্যতা নেই। তিনি জানান, এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরও মুফতি সাহেবের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। কোথায় কখন কী প্রোগ্রাম সে ব্যাপারে তিনিও জানতে চেয়েছেন। সফর বাতিল কিংবা নিরাপত্তাসংক্রান্ত কোনো শঙ্কার কথা তিনি বলেননি। গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর মুফতি সাহেবকে ফোন করার কথা উল্লেখ করে মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ আওয়ার ইসলামকে বলেন. আমি রিং দিলাম। হজরত রিসিভ করলেন। বললেন, তুমি যে শিডিউল পাঠাইছো এটা আমার সামনে আছে। এখন এটা আমি দেখছিলাম। তুমি এখনই ফোন করেছ। প্রোগ্রাম তো অনেক বেশি করে ফেলছো। সকালে প্রোগ্রাম রাতেও প্রোগ্রাম। আমি তো বলছিলাম দৈনিক একটা প্রোগ্রাম করার জন্য। দুইটা করলে আমার কষ্ট হবে। মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ জানান, তাদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শিডিউল থেকে যেকোনো প্রোগ্রাম তিনি চাইলে বাতিল করতে পারবেন। এছাড়া ফোনালাপে তিনি একবারও নিরাপত্তা শঙ্কা কিংবা বাংলাদেশে না আসার কথা উল্লেখ করেননি। তিনি জানান, মুফতি তাকী উসমানীর ১১ জানুয়ারি থেকে ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে। তিনি এবং তার সফরসঙ্গীদের বিমান টিকিট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফাইভ স্টার মানের হোটেলও বুকিং দেওয়া আছে। প্রোগ্রাম সূচিতে রাজধানীর ফরিদাবাদ মাদরাসার ৭০ সালা ছাড়াও ঢাকায় একাধিক প্রোগ্রাম এবং চট্টগ্রাম ও সিলেটে প্রোগ্রাম রয়েছে বলে জানান মিজানুর রহমান সাঈদ। এ সময় তিনি জানান, বিশ্ববিখ্যাত এই আলেমের শতভাগ নিরাপত্তা নিয়ে তারাও ভাবছেন। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। একটি মহল পরিকল্পিতভাবে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ। বিশ্ববিখ্যাত একজন আলেমকে নিয়ে এ ধরনের নোংরামি না করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপর ফকীহুল মিল্লাত মুফতী আব্দুর রহমান রহ.-এর দাওয়াতে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন মুফতি তাকী উসমানী। এরপর থেকে তিনি আর বাংলাদেশে আসেননি। বিভিন্ন সময় তাঁকে আনার চেষ্টা করা হলেও তৎকালীন সরকার এ ব্যাপারে সায় দেয়নি। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ায় পরিস্থিতি এখন অনেকটা অনুকূলে। এজন্য বিশ্ববিখ্যাত এই আলেমকে বাংলাদেশে আনার পথ উন্মুক্ত হয়েছে। আরএইচ/ |