খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৩:১৮ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার বিশেষ অধিবেশনে নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, তফসিল ঘোষিত হওয়ার পর ফ্যাসিবাদী অপশক্তি নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। টার্গেট কিলিং ও নাশকতা চালিয়ে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। জুলাই যোদ্ধা ওসমান হাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালিয়ে গণঅভ্যুত্থানের কন্ঠস্বরগুলোকে থামিয়ে দিতে চায়। কিন্তু দেশপ্রেমিক জনগণ তা কখনো হতে দিবে না, ইনশাআল্লাহ। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ আছে। আমরা অবিলম্বে ওসমান হাদীকে গুলিবিদ্ধকারী ও তার নিদের্শদাতাকে গ্রেফতার দেখতে চাই।

খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবণতিতে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও তার প্রশাসন কাযর্ত কোন কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে মাঠে রাখা হলেও আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি ঘটছে না। ৫ আগস্ট পরবর্তি লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়নি। অপরাধীদের উপর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি হয়নি। অন্যদিকে নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো প্রস্তুত নয়। পেশীশক্তির রাজনীতি ও কালো টাকার প্রভাবে রাজনৈতিক সহিংসতায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। এমতাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের উপযুক্ত ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োগ করতে হবে।

১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ তারিখ জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য প্রশাসনকে সকলে সবর্তোভাবে সহযোগীতা করতে হবে। তফসিলে ঘোষিত বিভিন্ন সময়সীমা যথার্থ হলেও একই দিন গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা একটি দুরূহ কাজ। এই ক্ষেত্রে বাজেট, দক্ষ জনবল ও ভোটারদের সচেতনতার সমন্বয় ঘটাতে নির্বাচন কমিশনকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

রাজধানীর পল্টন কালভার্ট রোডস্থ একটি হলে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার বিশেষ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আমিরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।

মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরায় উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর  মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী,  অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, অধ্যাপক সিরাজুল হক, মাওলানা সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম-মহাসচিব  এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, ডাঃ এ এ তাওসিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক  এডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, মাওলানা সামছুজ্জামান চৌধুরী, মাস্টার আবদুল মজিদ, অধ্যাপক মাওলানা এ এস এম খুরশীদ আলম, মাওলানা শেখ সালাহউদ্দিন, অধ্যাপক একেএম মাহবুব আলম, বায়তুলমাল সম্পাদক আলহাজ্ব আবু সালেহীন, সমাজকল্যাণ ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা আবু সালমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো: জহিরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক আবদুল করিম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রিফাত হোসেন মালিক, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট হাফেজ মাওলানা শায়খুল ইসলাম, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ ড. মাহবুবুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান, ডা. আসাদুল্লাহ, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, মুফতি আবদুল হক আমিনী, বোরহান উদ্দিন সিদ্দিকী, হাফেজ মাওলানা আবু সালমান, অধ্যক্ষ আবদুল হান্নান, জিল্লুর রহমান, মুফতি সাইয়্যেদুর রহমান, মাওলানা সৈয়দ মুশাহিদ আলী, মাওলানা সাঈদ আহমদ, মাওলানা সাইয়্যেদুর রহমান, মাওলানা মাহবুবুর রহমান হানিফ, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আলহাজ্ব নূর হোসেন, মাওলানা সামসুদ্দিন, মাওলানা আহমদ বেলাল, কাজী ফিরোজ আহমদ, সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা নেহাল আহমদ, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা হোসাইন নূরী চৌধুরী, মাওলানা ফারুক আহমদ ভূঁইয়া, মাওলানা নজরুল ইসলাম মাজহারী, শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুস সামাদ, মাওলানা নুরুল আমিন, গোলাম মোস্তফা, মাওলানা আবু সাঈদ, কর্ণেল (অব.) ডা: এমদাদুল হক, আবুল হোসেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা আজিজুল হক, আমীর আলী হাওলাদার, মাওলানা নাসির উদ্দিন, এডভোকেট মাওলানা রফিকুল ইসলাম

আরএইচ/