হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৭:৩২ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত দুই দিনে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানির কারণে বন্দরের খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৫০ টাকা। 

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রকি মিয়া বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার আমদানির অনুমতি দিয়েছে।

দুই দিনে ৩ ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আমদানি বৃদ্ধি পেলে বাজারে দাম আরো কমে আসবে বলে তিনি জানান। 
রকি মিয়া আরও জানান, প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ২৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হচ্ছে। তবে ভারতীয় ইনভয়েস (চালান মতে) ২৪৫ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপসহকারী ইউসুফ আলী জানান, বন্দরের ৪টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১২০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে।

হিলি বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, সরকার পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত আরো আগে নিলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকত বলে আমি মনে করি। আবার সরকার ভারত থেকে সীমিত পরিসরে ১২০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে, যা খুবই কম। নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি অনুমতি দেওয়ার সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল হক বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার সীমিত পরিসরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। আমাদের এই বন্দর দিয়ে চারটি প্রতিষ্ঠান ১২০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে, যা আগের তুলনায় অনেক কম। 

তিনি বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেশি করে শুরু হলে বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকবে এবং আরো কমে আসবে।

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা বাধন বলেন, দীর্ঘদিন পরে দুই দিনে ভারতীয় ৩ ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশের দ্রুত সরবরাহ করতে কাস্টমস সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা মঈনুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির কারণে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কমেছে। দেশি পেঁয়াজ ৭০-৭৫ বিক্রি হচ্ছে, যা গত ৩ দিন আগে ১০০/১৩০ টাকা বিক্রি হয়েছে। 

এলএইস/