
|
‘বাবরি মসজিদের’ আদলে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শনিবার
প্রকাশ:
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৯:৩৯ রাত
নিউজ ডেস্ক |
তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সদ্য বহিষ্কার হওয়া ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির তাঁর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল শনিবার (৬ ডিসেম্বর) মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের আদলে নির্মিত হতে যাওয়া মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন (শিলান্যাস) করবেন। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিনভর চলে সেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি। বিশাল আয়োজন ও জনসমাগমের প্রস্তুতি মসজিদের শিলান্যাস উপলক্ষে বেলডাঙার মরাদিঘি এলাকায় বিশাল আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মঞ্চ তৈরি, খাওয়াদাওয়া এবং অন্যান্য ব্যবস্থা মিলিয়ে মোট ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ৪০ হাজার অতিথির জন্য শাহী বিরিয়ানি প্রস্তুত করছে মুর্শিদাবাদের সাতটি কেটারিং সংস্থা। এছাড়াও ২০ হাজার স্থানীয় মানুষের জন্য বিরিয়ানি প্রস্তুত করা হচ্ছে। খাওয়াদাওয়া খাতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। প্রায় ১৫০ ফুট লম্বা এবং ৮০ ফুট চওড়া একটি বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ৪০০ জন বিশেষ অতিথি বসতে পারবেন। শুধু মঞ্চ তৈরিতেই প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রায় ৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। তাদের মধ্যে ২ হাজার কর্মী গতকাল শুক্রবার থেকেই কাজে নেমেছেন। তাদের মূল দায়িত্ব হলো ভিড় সামলানো এবং অনুষ্ঠানস্থলের কাছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা। হুমায়ুন কবিরের দাবি, বেলডাঙার ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের অদূরে মরাদিঘি মোড়ের কাছে প্রায় ২৫ বিঘা জমিতে আজ ৩ লাখ মানুষের জমায়েত হবে। আইনশৃঙ্খলা ও পুলিশি তৎপরতাআয়োজনের বিশালতা এবং জাতীয় সড়কে যানজটের আশঙ্কার কারণে প্রশাসন ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, আজকের অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার জন্য প্রায় ৩ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবে। অতিরিক্ত ভিড়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের 'লাইফলাইন' ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক যেন স্তব্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করাই প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য। জেলা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিশেষ করে জাতীয় সড়কে ট্র্যাফিক সচল রাখার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। সদর দপ্তর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনা হয়েছে এবং অনুষ্ঠানস্থল সংলগ্ন বেলডাঙা ও রেজিনগর থানার পুলিশ বিশেষ দায়িত্বে থাকবে। হুমায়ুনের মসজিদ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সূচি: শনিবার সকাল ৮টা বিশেষ অতিথিদের আগমন ঘটবে। সৌদি আরব থেকে উড়িয়ে আনা দুই ক্কারী (ইসলামিক ধর্মগুরু) কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিশেষ কনভয়ের মূল মঞ্চে পৌঁছোবেন। এদিন সকাল ১০টায় কোরান তেলাওয়াত শুরু হবে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে। কোরআন পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। বেলা ১২টায় শিলান্যাসের মূল অনুষ্ঠান শুরু। দুপুর ২টায় অনুষ্ঠান সমাপ্তি এবং খাওয়াদাওয়া। বিকেল ৪টার মধ্যে ফাঁকা করে দেওয়া হবে অনুষ্ঠানস্থল। শুক্রবার হাইকোর্টের নির্দেশের পর জেলা পুলিশ প্রশাসন হুমায়ুনের সঙ্গে আলোচনা করেছে। পুলিশ সূত্র জানায়, শনিবার অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য প্রায় তিন হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবে। অতিরিক্ত ভিড়ে জাতীয় সড়ক স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের এক এবং একমাত্র ‘লাইফলাইন’ ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক সচল রেখে সুষ্ঠুভাবে যাতে ওই অনুষ্ঠান শেষ হয়, সেটাই প্রশাসনের লক্ষ্য। জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, মূলত জাতীয় সড়কে যাতে ট্রাফিক সচল থাকে, সে দিকেই নজর রাখছি আমরা। সদর দপ্তর থেকে অতিরিক্ত বাহিনী আনা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থল মূলত দুটি থানা বেলডাঙা এবং রেজিনগরের অন্তর্গত। সংশ্লিষ্ট দুই থানার পুলিশও বিশেষ দায়িত্বে থাকছে। এলএইস/ |