সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৮:১৬ রাত
নিউজ ডেস্ক

ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। 

আজ শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পাদদেশে সংক্ষিপ্ত এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশ শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে সংগঠনটির নেতারা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে নেতাকর্মীরা ‘সীমান্তে মানুষ মরে, ইন্টারিম কী করে?’, ‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সংগঠনটির সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএসএফ দুজন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে রাতভর নির্যাতনের পর হত্যা করে পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত ভয়ংকর ও লজ্জাজনক। শুধু এই ঘটনা নয়, ২৯ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গার শহীদুল এবং ৪ ডিসেম্বর পাটগ্রামের সবুজ, গত এক সপ্তাহেই চারজন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ। তবুও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে দেড় যুগে সীমান্তে ৬০০-র বেশি বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে, বিচারহীনতার কারণে নির্যাতন ও মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার মতো ঘটনাও ঘটেছে। তারপরও কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এখনও সীমান্তের জনগণের নিরাপত্তা চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।

নাজমুল আরও বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের ব্যাখ্যা চাইতে হবে। তা না হলে ছাত্রসমাজ ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণআন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড অব্যাহত থাকলে ছাত্রসমাজ চুপ করে থাকবে না। প্রয়োজনে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি নেওয়াজ খান বাপ্পী বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড এবং ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাযজ্ঞ উভয়টির নেপথ্যে ভারতীয় প্রভাব ছিল বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তিনি বলেন, দেড় যুগে সীমান্তে বিএসএফ প্রায় ৬০০ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে; তবুও কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ভারতের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায়, কিন্তু কোনো প্রভুত্বমূলক বা একতরফা সম্পর্ক নয়।

এছাড়াও, সীমান্তে আর কোনো লাশ পড়লে দেশের ছাত্রসমাজ কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।

এলএইস/