
|
ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিতে বিক্ষোভ ডাক পিটিআইয়ের
প্রকাশ:
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১০:৩০ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বন্দি নেতা ইমরান খানের সঙ্গে কারাগারে দ্রুত সাক্ষাতের দাবি জানিয়ে দলের নেতাকর্মীরা বড় ধরনের বিক্ষোভের আয়োজন করেছে। মৃত্যুর গুজব ছড়ানোর মাঝে এই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে, যা আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) আদিয়ালা কারাগার এবং ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এলাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে, পিটিআই নেতাকর্মীদের এই বিক্ষোভ দমনের জন্য রাওয়ালপিন্ডি ও ইসলামাবাদে সকল ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ রাজধানী অঞ্চলের প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসন এ নির্দেশনা জারি করে। রাওয়ালপিন্ডির ডেপুটি কমিশনার হাসান ওয়াকার চীমা স্বাক্ষরিত এক আদেশ অনুযায়ী, আগামী বুধবার (৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে। আইন অনুযায়ী, কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, জমায়েত, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ, জনসভা এবং পাঁচ বা তার অধিক ব্যক্তির সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। ইমরান খানকে আদিয়ালা কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর স্বজনদের সঙ্গে প্রতি সপ্তাহে দেখা করতে দিতে হবে। কিন্তু গত চার সপ্তাহেরও বেশি সময়ে কারা কর্তৃপক্ষ ইমরানের সঙ্গে কাউকে সাক্ষাৎ করতে দেয়নি। গত সপ্তাহে ইমরান খানের তিন বোন কারাগারের সামনে ১২ ঘণ্টা অবস্থান করে ইমরানের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি, বরং তাদেরকে জোর করে সরানো হয়েছে। এ কারণে ইমরান খান সম্পর্কে দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। কিছু মানুষ দাবি করছেন যে, এই পিটিআই নেতাকে আদিয়ালা কারাগার থেকে অন্য কোথাও স্থানান্তর করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে মৃত্যুর গুজবও উড়িয়ে দেওয়া হয়নি। এ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। গত বুধবার (২৬ নভেম্বর) কারা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইমরান খান এখনও (আদিয়ালা) কারাগারে আছেন এবং সুস্থ আছেন। তবে বাবার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ইমরানের দুই পুত্র আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, কারা কর্তৃপক্ষ তাঁর (ইমরান) বর্তমান অবস্থার বিষয়ে সম্ভবত কিছু সত্য গোপন করছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক সাক্ষাৎকারে ছোট ছেলে কাসিম খান মন্তব্য করেন, পরিবার থেকে ইমরান খানের সঙ্গে সরাসরি বা বিশ্বাসযোগ্য কোনো যোগাযোগ এখনও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তিনি আরো বলেন, ‘বাবা নিরাপদে আছেন কি না, আহত হয়েছেন কি না, কিংবা তিনি বেঁচে আছেন কি না, তা না জানাটা এক ধরনের মানসিক অত্যাচার।’ ৭২ বছর বয়সী ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে কারাবন্দি রয়েছেন। ২০২২ সালে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন এবং তারপর থেকে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে এবং কয়েকটি মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাজা পান। যদিও ইমরান দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে সব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিয়ন্ত্রিত। এনএইচ/ |