
|
ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ জনবল সংকটে’ ইসরাইলি সেনাবাহিনী
প্রকাশ:
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০১:৩০ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
বর্তমানে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ জনবল সংকটের মুখে’ পড়েছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। দেশটির রিজার্ভ জেনারেল ও সামরিক বিশ্লেষক ইতজাক ব্রিক। তার মতে, অব্যাহত যুদ্ধ ও কর্মকর্তাদের বাহিনী এড়িয়ে যাওয়ার মনোভাবের কারণে দেশটির সেনাবাহিনী এখন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জনবল সংকটে পড়েছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের। দৈনিক মারিভ–এ প্রকাশিত এক মতামত নিবন্ধে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হাজার হাজার কর্মকর্তা ও নন-কমিশন্ড অফিসার ডাকে সাড়া দেননি বা চাকরির মেয়াদ নবায়ন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। গাজায় দুই বছর ধরে আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরাইল। এই যুদ্ধে দেশটির ৯২৩ সেনা নিহত এবং আহত হয়েছে আরও প্রায় সাড়ে ৬ হাজার। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর তথ্য উদ্ধৃত করে দেশটির গণমাধ্যম এসব জানায়। এছাড়া বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার সেনা যুদ্ধ-পরবর্তী মানসিক ধকল বা পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেসে ভুগছে বলেও উল্লেখ করা হয়। মূলত কঠোর সামরিক সেন্সরশিপের মধ্যেও যুদ্ধে প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা গোপন রাখার অভিযোগ উঠেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে, যাতে সেনা সদস্যদের মনোবল ধরে রাখা যায়। ব্রিক জানান, সেনাবাহিনীর বহু কর্মকর্তা দ্রুত অবসর নিতে চাইছেন এবং তরুণ সদস্যরা দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে যেতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন, ফলে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন শাখায় ব্যাপক জনবল ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তার মতে, এই সংকট এখন সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ এবং যুদ্ধোপকরণ পরিচালনাকেও বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, এভাবে চলতে থাকলে সেনাবাহিনী ‘সম্পূর্ণ অচল অবস্থায়’ চলে যেতে পারে।
তিনি বলেন, এসব সিদ্ধান্ত অভিজ্ঞ সেনাদের সেনাবাহিনীর বাইরে ঠেলে দিয়েছে এবং অদক্ষ সদস্যদের সংবেদনশীল পদে রেখে দিয়েছে। আর তারা বর্তমান যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না। তার অভিযোগ, বহু বছর ধরে সেনাবাহিনীর জনবল বিভাগ ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে’ চলছে এবং মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার মূল সমস্যাগুলো উপেক্ষা করে এসেছে। পুরোনো প্রযুক্তি ও বিচ্ছিন্ন তথ্যভান্ডারের কারণে সেনাবাহিনী ‘তথ্য অন্ধত্বে’ ভুগছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ব্রিক সতর্ক করেন, এই জনবল সংকট দ্রুতই ইসরাইল সেনাবাহিনীকে ‘সম্পূর্ণ অচল’ করে দিতে পারে। এনএইচ/ |