
|
নতুন আইনে বাতিল হচ্ছে অসংখ্য দলিল, রয়েছে জেল ও অর্থদণ্ড
প্রকাশ:
২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ০৮:৩৪ রাত
নিউজ ডেস্ক |
দেশের ভূমি খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে প্রণীত হতে যাচ্ছে ‘ভূমি ব্যবহার স্বত্ব আইন’ এবং ‘ভূমি অপরাধ, প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন’। নতুন এ আইনের আওতায় রেজিস্ট্রিবিহীন, অবৈধ সিল–সাক্ষরবিহীনসহ সাত ধরনের দলিল বাতিলের বিধান রাখা হয়েছে। ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ধরনের দলিল আইনের দৃষ্টিতে বৈধতা পায় না এবং সরকারকে কোনো রাজস্বও দেয় না—তাই নতুন আইনে এগুলো অকার্যকর ঘোষণা করা হবে। আইন অনুযায়ী, জমি ক্রয়-বিক্রয়, হেবা বা দান, বন্ধক, উত্তরাধিকারভিত্তিক বাটোয়ারা—সকল ধরনের দলিল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। রেজিস্ট্রি না হলে দলিল কোনোভাবেই বৈধ হবে না। বায়না দলিলের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। রেজিস্ট্রি করতে হলে জমির বিস্তারিত বিবরণ, মালিকানা ইতিহাস, সীমানা, নকশা, দাতা-গ্রহীতার তথ্য এবং প্রয়োজনীয় হলফনামা থাকতে হবে। পাশাপাশি রেজিস্ট্রি ফি, কর, ভ্যাট ও আয়করসহ সব সরকারি চার্জ পরিশোধ বাধ্যতামূলক। নতুন আইনে জাল খতিয়ান বা জাল দলিল তৈরির মাধ্যমে জমি দখলের যে প্রচলিত দুর্নীতি রয়েছে, সেটি প্রতিরোধে কঠোর শাস্তির বিধান আনা হচ্ছে। খাস জমি জালিয়াতির মাধ্যমে দখল করা হলে দলিল বাতিল হবে। একইভাবে, ও য়া রি শ দে র অধিকার বঞ্চিত করে সম্পত্তি বিক্রি করা হলে সেই দলিলও অকার্যকর হবে। আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আ দা ল তে র মাধ্যমে দ্রুত বিচার ও শাস্তির ব্যবস্থা আনা হয়েছে। নতুন আইনে দলিল জালিয়াতি, অবৈধ দখল ও প্রতারণার জন্য দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। শাস্তির মধ্যে রয়েছে তিন মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আইন কার্যকর হলে দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা বাড়বে, জালিয়াতি কমবে এবং প্রকৃত মালিকানা সুরক্ষিত হবে। এলএইস/ |