বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত ঢাকা -৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী কবির আহমেদ বলেছেন, ‘‘আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে তরুণ প্রজন্ম”। তিনি বলেন, এজন্য সৎ, যোগ্য, আদর্শিক ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে তরুণ প্রজন্মের মেধা বিকাশে ও সৎ, যোগ্য, আদর্শিক ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে রাষ্ট্রীয়ভাবে পদক্ষেপ গ্রহন করবে। সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার যেই তরুণ যুব সমাজ সেই তরুণ যুব সমাজকে মাদকের থাবা থেকে রক্ষা করতে হবে। যারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নিতে যুব সমাজের হাতে মাদক আর অস্ত্র তুলে দেয় তারা জাতির শত্রু। শনিবার বিকেলে রাজধানীর সবুজবাগের শহীদ আলাউদ্দিন পার্কে “কবির আহমেদ ফুটবল টুর্নামেন্ট’’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি (ঢাকা -৯ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী) কবির আহমেদ বলেন, অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা যুব সমাজকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। তরুণ প্রজন্মের হাতে বই-খাতা-কলম তুলে না দিয়ে তারা মাদক আর অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। তাদের নোংরা রাজনীতির শিকার হয়ে অসংখ্য তরুণ - যুবক বিপদগামী হয়ে উঠেছে। বহু পরিবারতে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বিপরীতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামি ছাতশিবির তরুণ প্রজন্মকে ইসলামী শিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টির প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। জামায়াতে ইসলামীতে রয়েছে একঝাঁক সৎ, যোগ্য, দক্ষ, আদর্শিক, নৈতিক মূল্যবোধের তরুণ নেতৃত্ব। যাদের হাত ধরে দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত বৈষম্যহীন এক কল্যাণ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি বলেন, যেই দলে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্ব নাই সেই দলই পারবে জাতিকে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ উপহার দিতে। যারা ক্ষমতার ৫ বছরের প্রতি বছর দেশকে দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান করেছে তারা এখন ক্ষমতায় আসার আগেই ঘরে-ঘরে লাশ উপহার দিতে শুরু করেছে। তাদের হাতে দেশ ও জাতি নিরাপদ নয়। তিনি উপস্থিত যুব সমাজকে জুলাই চেতনায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৯ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য যথাক্রমে মতিউর রহমান, নাসির উদ্দিন, আব্দুল বারী, রওশন জামান, মুহাম্মদ ইসাহাক, ঢাকা-৯ আসনের আওতাভুক্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী কামরুল হাসান রিপন, খোরশেদ আলম, ডাঃ রফিকুল ইসলাম রতন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পূর্বের ফাউন্ডেশন সম্পাদক হাসিব আহমেদ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর (ঢাকা-৫ আসন) উদ্যোগে ঢাকা-৫ সংসদীয় এলাকায় কর্মরত প্রিন্ট/ ইলেক্টনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শনিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী (ঢাকা-৫ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী) মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা-৫ আসন পরিচালক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং ডেমরা মধ্য থানা আমীর ও ঢাকা-৫ আসন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী;র পরিচালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর মজলিসে শুরা সদস্য ও ডেমরা দক্ষিণ থানা আমীর (৬৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী) মির্জা হেলাল, ডেমরা মধ্য থানা সেক্রেটারী ৬৮ নং ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিচালক হাসান মুহাম্মদ শিবলী, ডেমরা মধ্য থানা বাইতুলমাল সম্পাদক ও ৬৮ নং ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. শরীফ হোসেন, ৬৮ নং ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. রহমাতুল্লাহ প্রমুখ। এছাড়াও সভায় স্থানীয় সকল সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অতীতের কোনো সরকার নিশ্চিত করেনি। বরং সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করতে আইসিটি আইন নামে কালো আইন তৈরি করেছে। সাংবাদিকদের মামলা-হামলা দিয়ে জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মদদে সাংবাদিক সাগর-রুনিকে হত্যা করা হলেও আজ পর্যন্ত সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করা হয়নি। ‘‘জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হবে’’। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমকর্মী সাংবাদিকদের অধিকার এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। সাংবাদিকদের জীবনমান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবিচল থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার সৎ সাহসিকতা বজায় রাখতে হবে।
এলএইস/