
|
‘ভূমিকম্পের তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করেছে এক কোটিরও বেশি মানুষ’
প্রকাশ:
২২ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:৪৫ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলাজুড়ে গতকাল শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে অনুভূত তীব্র ভূমিকম্পে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নরসিংদীর মাধবদী উপজেলাকে কেন্দ্র করে রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রার এ কম্পনে আহত হয়েছেন আরও ছয় শতাধিক মানুষ। সবচেয়ে বেশি পাঁচজন মারা গেছেন নরসিংদীতে, ঢাকায় চারজন এবং নারায়ণগঞ্জে একজন। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে, ঢাকা থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস অবশ্য মাত্রা ৫.৫ বলে উল্লেখ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকার এত কাছে এর আগে এমন শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়নি, তাই কম্পনের তীব্রতাও ছিল নজিরবিহীন। দেয়াল ধস, ভবনে ফাটল ও আতঙ্ক রাজধানীর নিকেতন এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল আলম বলেন, ‘সেলুনে বসে ছিলাম। চেয়ার এত কাঁপছিল, মনে হচ্ছিল পড়ে যাব। দৌড় দিয়ে বাইরে আসি। এই শহরে কোথাও নিরাপদ মনে হয় না।’ ৭ কোটি মানুষের কম্পন অনুভব সংস্থাটি ভূমিকম্পটিকে প্রাণহানির ঝুঁকিতে ‘কমলা’ এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির ঝুঁকিতে ‘হলুদ’ শ্রেণিতে রেখেছে। বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা তিনি জানান, ২০২৩ সালে রামগঞ্জে ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল, কিন্তু সেটি ছিল ঢাকার প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে। এবার উৎপত্তিস্থল ছিল মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে, ফলে কম্পন ছিল অনেক বেশি তীব্র। ঢাকার ভবনঝুঁকি বেশি নিম্নাঞ্চলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আকতার মাহমুদ বলেন, ঢাকার নিম্নাঞ্চল- যেমন হাজারীবাগ, শ্যামলী, ঢাকা উদ্যান, বছিলা, পূর্বাচল, উত্তরাসহ বালু নদ ও প্রগতি সরণি এলাকা; উঁচু এলাকার তুলনায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। নব্বইয়ের দশকের পর এসব নিম্নভূমি ভরাট করে গড়ে ওঠা আবাসিক-বাণিজ্যিক এলাকা বড় ভূমিকম্পে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। এনএইচ/ |