
|
গণভোট আয়োজনের আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পায়নি নির্বাচন কমিশন
প্রকাশ:
১৯ নভেম্বর, ২০২৫, ০১:১২ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে গণভোটের সিদ্ধান্ত নিলেও, মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা বা চিঠি পায়নি। নির্দেশনা এখনও না পেলেও কমিশনের কর্মকর্তারা অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সরকার এই ঘোষণা দেয় এবং সেদিনই জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করা হয়। ইসি সচিব আখতার আহমেদ গতকাল নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘ইসি এখন পর্যন্ত গণভোটের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পায়নি। নির্দেশনা পাওয়ার পর ইসি কী নির্দেশনা পেয়েছে এবং কর্মপরিকল্পনা কী, তা জানানো হবে।’ আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণার লক্ষ্যে ইসির প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। জাতীয় নির্বাচনের মতোই গণভোটও আয়োজন করবে ইসি। গণভোট আয়োজনের জন্য আগে একটি নতুন আইন বা অধ্যাদেশ প্রণয়ন করতে হবে, কারণ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) দিয়ে গণভোট পরিচালনা করা যাবে না। সরকার এই আইন বা অধ্যাদেশ করবে বলে জানা গেছে। গণভোট পরিচালনার জন্য গণভোট আইনের অধীনে একটি বিধিমালা করারও প্রয়োজন হতে পারে বলে মনে করছেন ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এবার সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটাররা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রবাসীরা গণভোট দিতে পারবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি, তবে ইসি এই সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক। জাতীয় নির্বাচনের মতো প্রবাসীদের গণভোটে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে গণভোটের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন-বিধিতে এ-সংক্রান্ত বিধান রাখতে হবে। ইসি সূত্র জানায়, প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের গণভোট দেওয়ার সুযোগ দিলে ইসির তেমন বাড়তি খরচ হবে না; শুধু জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট পেপারের সঙ্গে গণভোটের ব্যালট পাঠাতে হবে। প্রবাসীদের জন্য জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট এক রঙের এবং গণভোটের ব্যালট আরেক রঙের দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আছে। বর্তমানে ইসি আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য সারা দেশে ‘৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র’ এবং ‘২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি ভোটকক্ষ (বুথ)’ নির্ধারণ করেছে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে গণভোট আয়োজনের প্রস্তুতিও কার্যত হয়ে যাচ্ছে। তবে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট করতে হলে কিছু বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হবে। ভোটকেন্দ্র না হলেও ভোটকক্ষ বা বুথের সংখ্যা বাড়াতে হতে পারে, কারণ দুটি ভোট দিতে সময় বেশি লাগবে। ভোটকক্ষ বাড়ানো হলে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার সংখ্যাও বাড়াতে হবে, যদিও কর্মকর্তা বাড়াতে খুব বেশি সমস্যা হবে না। ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটকেন্দ্র বাড়ানো হবে নাকি ভোটকক্ষ বা বুথ বাড়ানো হবে, এ বিষয়ে সার্বিক পর্যালোচনা করে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়া অতিরিক্ত কিছু স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং আরও কিছু নির্বাচনী সামগ্রীও প্রয়োজন হতে পারে। এলএইস/ |