জেনিকায় ইমামদের জন্য এআই বিষয়ক সেমিনার
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ০৭:৫৩ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার জেনিকা ইসলামিক কমিউনিটি কাউন্সিল সুলতান আহমেদ ইসলামিক সেন্টারে ইমামদের জন্য এক বিশেষ পেশাদার সেমিনারের আয়োজন করেছে।

সমসাময়িক বিশ্বে ইমামের ভূমিকা কীভাবে বদলে যাচ্ছে এবং দাওয়াহ ও শিক্ষামূলক কার্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কী নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে—সেমিনারটি মূলত সেই বিষয়গুলো নিয়েই সাজানো হয়। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন- জেনিকার মুফতি অধ্যাপক ড. মেভলুদিন দিজদারেভিচ, ধর্মীয় বিষয় ও শিক্ষা বিভাগের প্রধান এডিন কাভাজোভিচ, ইমাম সুমদিন কোবিলিকা এবং আরও অনেকে।

দাওয়াহ ও প্রযুক্তির সংযোগ নিয়ে আগ্রহী ব্যক্তিরাও সেমিনারে অংশ নেন। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ কাদরিচ। ‘ইমামতের অনুশীলনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : জ্ঞান, দায়িত্ব ও কর্ম’ শীর্ষক তার বক্তৃতায় তিনি এআই-এর মৌলিক ধারণা, সমাজে এর দ্রুত বিস্তার এবং ইসলামী শিক্ষা ও দাওয়াহ কাজের ওপর এর প্রভাব বিশদভাবে আলোচনা করেন।

তিনি দেখান, ইমামদের শিক্ষা, বক্তৃতা প্রস্তুতি, গবেষণা ও জনসংযোগে এআই কীভাবে কার্যকর সহায়ক হতে পারে। শ্রোতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আধুনিক এই প্রযুক্তিগুলো সঠিকভাবে ব্যবহৃত হলে উপাসকদের সাথে যোগাযোগ আরও সহজ, দ্রুত ও প্রভাবশালী হয়ে উঠতে পারে।

সমাপনী ভাষণে মুফতি মেভলুদিন দিজদারেভিচ ইমামদের ধারাবাহিক পেশাদার উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, প্রযুক্তি যেভাবে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে, ইমামদেরও সেই গতির সঙ্গে তাল মিলাতে হবে। আজকের প্রশ্ন শুধু একটি— দ্রুত পরিবর্তনশীল দুনিয়ায় একজন ইমাম কীভাবে নিজের প্রভাব ও প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখবেন?

তিনি জোর দিয়ে বলেন, সমসাময়িক সমাজে ইসলামের বার্তা আরও কার্যকরভাবে পৌঁছে দিতে এআই বোঝা ও সচেতনভাবে ব্যবহার করা সময়ের দাবি। সেমিনারটি শেষ হয় অংশগ্রহণকারীদের প্রাণবন্ত আলোচনার মাধ্যমে।

ইমামরা জানিয়েছেন, তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আরও বিস্তৃতভাবে আয়োজনের প্রত্যাশা করেন—যাতে ডিজিটাল যুগের সরঞ্জামগুলোকে দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করে তারা দাওয়াহ ও শিক্ষামূলক দায়িত্ব আরও সফলভাবে পালন করতে পারেন।

এলএইস/