পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ১৫ তালেবান নিহত
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ০২:৩২ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া (কেপি) প্রদেশে গত সপ্তাহে দুটি পৃথক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে পাকিস্তানি তালেবানের ১৫জন  নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দেশটির সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর এ তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ডেরা ইসমাইল খান জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী প্রথম গোয়েন্দা-তথ্যভিত্তিক অভিযান চালায়। এতে তালেবান সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) নেতা আলম মেহসুদসহ ১০ জন  নিহত হয়।

দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালিত হয় উত্তর ওয়াজিরিস্তানের দত্তাখেল এলাকায়, যেখানে আরও পাঁচ  নিহত হয়েছে বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এলাকায় আর কোনো ভারত-সমর্থিত খারেজি থাকলে তাকে নির্মূল করতে স্যানিটাইজেশন অভিযান চলছে।’

পাকিস্তানের সামরিক ও সরকারি কর্তৃপক্ষ প্রায়ই টিটিপি বা পাকিস্তানি তালেবানদের বোঝাতে ‘খাওয়ারিজ’ শব্দটি ব্যবহার করে। সেনাবাহিনী অভিযোগ করে থাকে, ভারত সরকার টিটিপি এবং কেপি ও বালুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে নয়া দিল্লি।

অন্য এক বিবৃতিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এই অভিযানে ১৫  নিহত করায় নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের এই মুহূর্তে পুরো জাতি পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর পাশে আছে।’

ইসলামাবাদ অভিযোগ করছে, আফগান সরকার টিটিপিদের বিরুদ্ধে ‘দৃঢ় ও কার্যকর’ ব্যবস্থা নিচ্ছে না; পাকিস্তানের দাবি, এসব  আফগান ভূখণ্ড থেকে হামলা চালায়। তবে কাবুলের তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকার এসব অভিযোগ নাকচ করে বলছে, পাকিস্তানকে তার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংকট নিজস্বভাবে সমাধান করতে হবে।

২০০৭ সাল থেকে টিটিপি পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ বেশ কিছু হামলা চালিয়ে আসছে, কঠোর ইসলামি আইন চাপিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে।

সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে  হামলা বাড়তে থাকায় ইসলামাবাদ ও কাবুলের সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গত অক্টোবর দুই দেশের মধ্যে প্রাণঘাতী সীমান্তসংঘর্ষে উভয় পক্ষের সৈন্যসহ বহু মানুষ নিহত হয়। এরপর গত মাসে দোহায় সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় দুই দেশ।

NH/