।।মুফতি আব্দুর রহমান নাঈম কাসেমী।।
আল্লাহ তাআলার বিশেষ অনুগ্রহে ময়মনসিংহের গফরগাঁও অঞ্চল বহু যোগ্য ও খ্যাতিমান আলেমের বরকতে সমৃদ্ধ। এখানেই জন্মগ্রহণ করেছেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক হযরত মাওলানা শামসুল হুদা পাঁচবাগী রহ., মুজাহিদে মিল্লাত হযরত মাওলানা বোরহান উদ্দিন রহ., হযরত মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রহ., হযরত মাওলানা আব্দুল আলীম হোসাইনী রহ., হযরত মাওলানা ফখরুল ইসলাম রহ. সহ আরও অসংখ্য প্রখ্যাত উলামায়ে কেরাম। তাঁরা তাঁদের সাধ্য অনুযায়ী দ্বীনের খিদমত করেছেন, ইলমের আলো ছড়িয়েছেন এবং সমাজকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
এই ধারাবাহিকতার আরেক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন সদ্যপ্রয়াত বর্ষীয়ান আলেম হযরত মাওলানা মাহমুদুল হাসান সালমানী রহ.। গত ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ইং, রোজ শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
চার দশকেরও বেশি সময় তিনি দ্বীনের খিদমতে কাটিয়েছেন—মাদ্রাসায় শিক্ষকতা, মসজিদের দায়িত্ব, দাওয়াত ইলাল্লাহ্, ইসলাহী কার্যক্রম এবং সমাজসেবামূলক নানা কাজ তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। নীরবে-নিভৃতে তিনি যে কাজগুলো করে গেছেন, সেগুলো সত্যিকার অর্থেই উম্মতের কল্যাণের জন্যই ছিল।
হযরতের ইন্তেকাল গফরগাঁওবাসীসহ পুরো অঞ্চলের জন্য একটি বড় ক্ষতি। তবে তাঁর রেখে যাওয়া আমল, নসিহত ও জীবনাদর্শ ইনশাআল্লাহ আমাদের জন্য চিরন্তন প্রেরণা হয়ে থাকবে।
আল্লাহ তাআলা হযরতের সকল খেদমত কবুল করুন, তাঁকে ক্ষমা করুন এবং উত্তম প্রতিদান দান করুন—আমিন।
এ লেখায় আমরা মাওলানা মাহমুদুল হাসান সালমানী রহ.-এর জীবনের কিছু উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরছি।
জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন
মাওলানা মাহমুদুল হাসান সালমানী রহ. ১৯৫৭ সালে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার দুগাছিয়া গ্রামে মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা বোরহান উদ্দিন রহ. -এর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন (আল্লামা বোরহান উদ্দিন রহ. ছিলেন হযরত মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ্ হাফিজ্জী হুজুর রহিমাহুল্লাহর সমসাময়িক এবং দ্বীনি খিদমতে তাঁর একান্ত আস্থাভাজন ও বিশিষ্ট বুজুর্গ ব্যক্তিত্ব)।
শিক্ষাজীবন
পারিবারিক পরিবেশেই তাঁর দ্বীনি শিক্ষার হাতে খড়ি হয়। এরপর ইলম অর্জনের জন্য তিনি দেশের প্রখ্যাত মাদরাসাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষা গ্রহণ করেন। প্রথমে ময়মনসিংহ বড় মসজিদ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। এরপর ঢাকার ঐতিহ্যবাহী জামিয়া কোরআনিয়া লালবাগ ও জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। সবশেষে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে গমন করেন এবং সেখানে নিজের ইলমী পথচলার শেষ ধাপ সম্পন্ন করেন।
ছাত্রজীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি উত্তম চরিত্র, পড়াশোনায় মনোযোগ এবং আমলে স্থিরতার জন্য উস্তাদদের নিকট অত্যন্ত সমাদৃত ছিলেন। আর আখলাকে সৌন্দর্য, সহনশীলতা ও পরিশ্রমী স্বভাবের কারণে সহপাঠীদের মধ্যেও তাঁর প্রভাব ও গ্রহণযোগ্যতা ছিল বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
পারিবারিক দ্বীনি পরিচয়
মাওলানা সালমানীর পরিবার ছিল দ্বীনি ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ। তাঁর পিতা আল্লামা বোরহান উদ্দিন রহ. ছিলেন দারুল উলুম দেওবন্দের আকাবির—হযরত শায়খুল ইসলাম হুসাইন আহমদ মাদানী রহ.-এর খাস ছাত্র ও খাদেম। এই সম্পর্ক ছোটবেলা থেকেই মাওলানা সালমানীর অন্তরে মাদানী মিজাজ, দেশপ্রেম, ইলমের খিদমত এবং উলামায়ে হকের প্রতি গভীর মহব্বত সৃষ্টি করে।
পরবর্তীতে তাঁর তাদরিসী জীবন, দাওয়াত, ব্যক্তিজীবন, সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড এবং বাতিল প্রতিরোধের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই মাদানী মিজাজের সুস্পষ্ট প্রতিফলন দেখা যায়।
সুন্নতের অনুসরণ
হযরত মাওলানা মাহমুদুল হাসান সালমানী রহ.-এর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল সুন্নতের অনুসরণ। তিনি চলাফেরা, কথাবার্তা, খাবার-পানাহার এবং পোশাকসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুন্নতের অনুসরণ করতেন। দৈনন্দিন অভ্যাস থেকে শুরু করে বাহ্যিক আমল পর্যন্ত সব জায়গায় তার সুন্নতি জীবনযাপন স্পষ্টভাবে দেখা যেত। এটি ছিল তাঁর জীবনের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি।
একজন সফল মুহতামিম
মাওলানা মাহমুদুল হাসান সালমানী রহ. পিতার প্রতিষ্ঠিত গফরগাঁও দুগাছিয়া জামিয়া হোসাইনিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হিসেবে তিন দশকেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে তিনি মাদ্রাসার তা'লিম-তারবিয়তের মান উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। শিক্ষার্থীদের আখলাক ও আমল গঠনে গুরুত্ব দেন এবং প্রতিষ্ঠানটিকে দাওরা হাদিস পর্যায়ে উন্নীত করেন। আলহামদুলিল্লাহ, হযরতের তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠা ছাত্ররা বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দ্বীনি খিদমতে নিয়োজিত।
আমানতদার মুহতামিম
হযরতের আমানতদারিতা ছিল সত্যিই উল্লেখযোগ্য। এত দীর্ঘ সময় দায়িত্বে থাকার পরও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ কখনো ওঠেনি। তাঁর সততা ও নিষ্ঠা নবীন মুহতামিমদের জন্য অনুসরণযোগ্য একটি দৃষ্টান্ত।
দেশের বিভিন্ন এলাকার মুহতামিম ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তাঁর কাছে এসে পরামর্শ নিতেন, মাদ্রাসা পরিচালনার নীতি শিখতেন।তাঁর পরিচালন-নীতি দেখে অনেকেই নিজেদের প্রতিষ্ঠানে তা প্রয়োগ করে সফলতা পেয়েছেন।
দুনিয়া বিমুখতা ও দ্বীনি সঞ্চয়
হযরতের বড় বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি ছিল দুনিয়াবিমুখতা। জীবনে প্রচুর সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও তিনি তা গ্রহণ করতেন না। পিতার উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের বেশিরভাগই তিনি দ্বীনি কাজে ব্যয় করেছেন।
মৃত্যুর পর তাঁর সাহেবজাদা, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ মাহমুদ জানান–হযরতের রেখে যাওয়া সম্পত্তির মধ্যে মূলত একটি বাড়ি-ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই। তাঁর সমুদয় সম্পত্তি তিনি মাদ্রাসার খিদমতে ব্যবহার করেছেন।পুরুষ মাদ্রাসার পাশে তিনি একটি বালিকা মাদ্রাসাও প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই কাজে তিনি নিজের অর্থ, সম্পদ এবং প্রচুর শ্রম ব্যয় করেছেন, যাতে মেয়েরা দ্বীনি শিক্ষার সুযোগ পায় এবং দ্বীনদার পরিবার গঠন করতে পারে।
সন্তানদের যোগ্য আলেমরূপে গড়ে তোলা
মাওলানা মাহমুদুল হাসান সালমানীর পাঁচ ছেলে এবং তিন মেয়ে রয়েছে। তিনি তাঁর সকল সন্তানকে যোগ্য নাগরিক ও দ্বীনদার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। সন্তানদের নৈতিক ও দ্বীনি শিক্ষায় তিনি সর্বদা মনোযোগ দিয়েছেন, অল্পতেই সন্তুষ্ট হতে শিখিয়েছেন এবং আদর্শ শিক্ষা দিয়েছেন।
তার পাঁচ ছেলের মধ্যে চারজনই আলেম, এবং তিন মেয়েই আলেমা হয়েছেন। সব সন্তানই নৈতিক ও দ্বীনি গুণে সমৃদ্ধ। তাঁর ছেলে মাওলানা ওবায়দুল্লাহ মাহমুদ বলেন– "আব্বাজান রহ. সব সময় আমাদের সম্পদের মোহ থেকে দূরে রাখতেন এবং নিজেও সম্পদের মোহ থেকে দূরে থাকতেন। তিনি চাইতেন, যেন আমরা জীবনে সম্পদকে প্রাধান্য না দিয়ে সর্বদা দ্বীনকে প্রাধান্য দিই।"
মেহমানদারি ও আত্মীয়তা রক্ষা
মেহমানদারির ক্ষেত্রে মাওলানা মাহমুদুল হাসান সালমানী রহ. ছিলেন অত্যন্ত উদার। কেউ তাঁর কাছে এলে তিনি আন্তরিকভাবে আপ্যায়ন করতেন এবং অতিথির প্রয়োজনকে প্রায়ই নিজের প্রয়োজনের আগে রাখতেন।
আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষায়ও তিনি ছিলেন অনন্য দৃষ্টান্ত। তাঁর সাহেবজাদাদের কাছ থেকে জানা যায়, মৃত্যুর কয়েক বছর আগে তিনি একটি বৃহৎ আত্মীয় সম্মেলন আয়োজন করেছিলেন। সেখানে কয়েকশো আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন, এবং তিনি নিজ হাতে সকলকে দাওয়াত ও আপ্যায়ন করেছিলেন, যাতে সম্পর্ক ও আন্তরিকতা বজায় থাকে।
বাতিলের বিরুদ্ধে বজ্রকণ্ঠ
বাতিলের বিরুদ্ধে তিনি সব সময় দৃঢ় অবস্থান নিতেন। কোনো ভুল, অন্যায় বা বিভ্রান্তি দেখলে কখনো চুপ থাকতেন না। ধর্মীয় সংগঠনের ব্যানারে বা ব্যক্তিগতভাবে ওয়াজ মাহফিলে তিনি পরিষ্কারভাবে নিজের অবস্থান প্রকাশ করতেন।
আলেমদের সঙ্ঘবদ্ধ করা
জীবনের শেষ ১৬ বছর তিনি গফরগাঁওয়ের প্রাচীন উলামা সংগঠন, উলামা সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি সংগঠনটিকে সক্রিয় করতে রাতদিন পরিশ্রম করেছেন। এলাকার আলেমদের একত্রিত করে তিনি হাজার হাজার আলেমকে একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছেন এবং ঐক্যের পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন।
বিভিন্ন সময় তিনি আলেমদের সঙ্গে আয়োজন করতেন—ঈদ পরবর্তী মিলনমেলা, এলাকার ধর্মীয় সংকটে পরামর্শসভা, ফিতনা ও বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে বৈঠক, প্রয়োজনীয় ধর্মীয় উদ্যোগ।
এই কাজে তাঁর সঙ্গে মোহতারাম সভাপতি হাফেজ নুরুল ইসলাম সাহেবসহ আরও বহু দায়িত্বশীল ব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
মাওলানা সালমানী রহ. ভালোভাবে বুঝতেন যে আলেমদের ঐক্যই শক্তি, এবং সেই ঐক্য ধরে রাখতে তিনি মন-প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেছেন।
হযরতের সাথে আমার পরিচয়
হযরতের সাথে আমার পরিচয় খুব ছোটবেলা থেকেই। তখন আমি গফরগাঁও মারকাজ মাদ্রাসায় পড়তাম—২০০১ সালের কথা। সেই সময় গফরগাঁও এলাকায় মাদ্রাসা ছিল খুবই কম। তার মধ্যে দুগাছিয়ার জামিয়া হোসাইনিয়া মাদ্রাসা ছিল সবচেয়ে পুরনো ও পরিচিত মাদ্রাসাগুলোর একটি। এই মাদরাসার মুহতামিম ছিলেন মাওলানা মাহমুদুল হাসান সালমানী রহ.।
আমরা ছোটবেলা থেকেই তাঁকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, মজলিস, মাহফিল এবং সভার মঞ্চে দেখতে পেতাম। শান্ত, স্থির, স্বাভাবিক হাসিমুখ—এ রকম একজন আলেম হিসেবে তাঁর চেহারা আমাদের মনে গেঁথে গিয়েছিল।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারি— তিনি দ্বীনের জন্য কত পরিশ্রম করছেন, কত দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন, আর মানুষের জন্য কতটা নিঃস্বার্থভাবে খেদমত করছেন।
এরপর আল্লাহ তাআলার তাওফিকে ২০১৩-২০১৪ সালে জামিয়া হোসাইনিয়া আরজাবাদ থেকে ইফতা সম্পন্ন করে যখন আমি দারুল উলুম দেওবন্দের উদ্দেশে সফর করি, তখন বিদায়ের পূর্বে হযরতের খিদমতে হাজির হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করি।
তিনি আন্তরিকভাবে নসিহত করলেন, প্রাণভরে দুআ করলেন এবং বিদায়ের সময় বললেন—
“غانمًا وسالمًا”
—অর্থাৎ “আল্লাহ তোমাকে নিরাপদে রাখুন এবং উপকার ও কল্যাণ দান করুন।
হযরতের সেই দুআ আজও আমার হৃদয়ে অম্লান। স্মরণ করলে হৃদয় নরম হয়ে আসে। তাঁর স্নেহ, মুহব্বত ও দুআর সেই স্মৃতি আমার ব্যক্তিগত জীবনের এক অমূল্য সম্পদ হয়ে আছে।
আলহামদুলিল্লাহ, দেওবন্দ থেকে দেশে ফেরার পরও হযরতের সাথে সম্পর্ক আগের মতোই অটুট ছিল। বিভিন্ন ছুটিতে গফরগাঁও গেলে তাঁর খেদমতে হাজির হতাম। দেখা-সাক্ষাৎ হতো, কথা হতো। তিনি আমাদের কাজের খোঁজখবর নিতেন, ভালো কাজে উৎসাহ দিতেন এবংসবসময় আন্তরিকভাবে অনুপ্রেরণা যোগাতেন।
শেষ সাক্ষাৎ ও কথোপকথন
হযরতের সঙ্গে আমার সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল কয়েক মাস আগে। সেদিন আমি হযরতের বাসভবনে গিয়েছিলাম—সাথে ছিল আমার ছেলে সাঈদ আবদুল্লাহ। হযরতের খেদমতে আমি একটি লুঙ্গি হাদিয়া পেশ করলাম। হযরত খুব স্নেহের সঙ্গে তা গ্রহণ করলেন এবং আমার ছেলেকে আন্তরিকভাবে দুআ করে দিলেন।
সেদিনের কথোপকথনের একটি অংশ আজও গভীরভাবে মনে পড়ে। হযরত আমার দিকে তাকিয়ে আফসোসের সুরে বললেন—
“তোমরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় খেদমত করছো, এটা ভালো। কিন্তু তোমরা তোমাদের এলাকা ভুলে যেও না। তোমাদের খেদমতের প্রথম হকদার তোমাদের নিজ এলাকার মানুষ। আল্লাহ তাআলা সকল নবী–রাসূলকে তাদের নিজ কওমের কাছে পাঠিয়েছেন। তাই যেখানেই থাকো, গফরগাঁওবাসীর সঙ্গে দ্বীনি সম্পর্ক বজায় রেখো।”
হযরতের এই উপদেশটি আজ বারবার মনে পড়ছে।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাঁর নসিহতের ওপর আমল করার তাওফিক দিন। এবং তাঁর কবরকে নূরে ভরপুর করুন, তাঁর সকল খিদমত কবুল করুন—আমিন।
লেখক: মুহাদ্দিস, দারুল উলুম মিরপুর–১৩, ঢাকা; ইমাম ও খতিব, গাউছিয়া জামে মসজিদ, মিরপুর–২, ঢাকা।
এনএইচ/