
|
রাতে বিক্ষিপ্ত ককটেল বিস্ফোরণ, দিনে লকডাউনের তেমন প্রভাব নেই
প্রকাশ:
১৭ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:১৩ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউনকে কেন্দ্র করে গাজীপুরে জনজীবনে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েনি। তবে রোববার (১৬ নভেম্বর) রাতে টঙ্গী ও কালিয়াকৈর এলাকায় বিক্ষিপ্ত ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি জোরদার করে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে ঢাকা–টাঙ্গাইল ও ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। লকডাউন ঘিরে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাড়তি নজরদারি চালাচ্ছে। মোবাইল টহল, চেকপোস্ট এবং জনসমাগমস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নগরীর কোনাবাড়ি, চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া বাইপাস, টঙ্গীসহ বিভিন্ন এলাকার মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। যানবাহন কিছুটা কম হলেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, পোশাক কারখানা ও ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। টঙ্গী ও কালিয়াকৈরে বিক্ষিপ্ত বিস্ফোরণ রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টঙ্গীর বিআরটি ফ্লাইওভারের ওপর থেকে টঙ্গী–ঘোড়াশাল সড়কের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হলে পথচারীরা আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। চেকপোস্টে থাকা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরিত ককটেলের আলামত সংগ্রহ করে। তবে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ওয়াহিদুজ্জামান ঘটনাটিকে ‘ককটেল নয়, পটকা’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, এতে কেউ আহত হয়নি এবং কাউকে আটকও করা সম্ভব হয়নি। কালিয়াকৈরের গ্রামীণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এবং গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের গেটের সামনে দুর্বৃত্তরা ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে দুটি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে আগুন ধরে যায়। পরে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রামীণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের সিকিউরিটি গার্ড সিরাজুল ইসলাম জানান, ভোর ৫টার দিকে দুর্বৃত্তরা পার্কের গেটে ককটেল নিক্ষেপ করলে সাইনবোর্ডে আগুন ধরে যায়। পরে তা নেভানো হয়। একই সময় কালিয়াকৈরের গোয়াল বাথান এলাকায় গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের প্রধান ফটকেও ককটেল নিক্ষেপ করা হয়, যাতে সাইনবোর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এনএইচ/ |