
|
রাজশাহীতে এইচআইভি আক্রান্তদের অধিকাংশই সমকামী
প্রকাশ:
০৭ নভেম্বর, ২০২৫, ০৯:৪০ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
রাজশাহীতে বাড়ছে এইচআইভি (এইডস) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি বছরের ১০ মাসে নতুন ২৮ জনের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে এইডসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। এবং সম্প্রতি রাজশাহীতে সমকামী সম্পর্কের মাধ্যমে এইচআইভি সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্ব আরোপের পাশাপাশি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট সেন্টার চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রামেকের এইচআইভি টেস্টিং অ্যান্ড কাউন্সেলিং (এইচটিসি) সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১২ হাজার ৪৬৪ নমুনা পরীক্ষায় এইচআইভি পজিটিভ হয়েছে ৯৩ জন। এর মধ্যে ২৫ জন পুরুষ, ২ জন নারী ও ১ জন তৃতীয় লিঙ্গের। এদের মধ্যে এইচআইভিতে মারা গেছেন আটজন। আক্রান্তদের অধিকাংশের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছর। এখানে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ জন পরীক্ষা করাতে আসেন। যাদের পজিটিভ রিপোর্ট আসে তাদের কাউন্সেলিং করা হয়। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এইচআইভি সম্পূর্ণ নিরাময় না হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অর্থাৎ নিয়মিত চিকিৎসা এবং ওষুধ সেবনে আক্রান্তরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন।’ সংশ্লিষ্টরা জানান, বিগত বছরগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালে রামেক হাসপাতালে এইচআইভি পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম বছর ৭৭ জনের নমুনায় কারো দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়নি। ২০২০ সালে দুই জন পজিটিভ হন। এরপর ২০২১ সালে ৮ জন, ২০২২ সালে ৮ জন, ২০২৩ সালে ২৪ জন, ২০২৪ সালে ২৭ জন ও ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ২৮ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ২০২৪ সালে আক্রান্ত ২৭ জনের ১৬ জনই সমকামীতার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন। এরমধ্যে যৌনকর্মীর মাধ্যমে ১০ এবং রক্তের মাধ্যমে একজন সংক্রমিত হয়েছেন। চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত শনাক্ত ২৮ জনের ১৭ জন সমকামী সম্পর্কের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন। এছাড়া যৌনকর্মীর মাধ্যমে ১০ ও রক্তের মাধ্যমে একজন সংক্রমিত হয়েছেন। এইচআইভি সংক্রমিত একজন বলেন, ‘রোগাক্রান্ত হয়েছি জানার পর মনে হয়েছিল সব শেষ। রামেকে কাউন্সেলিংয়ের পর বুঝলাম, এটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। নিয়মিত ওষুধে ভালো থাকা যায়। তবে রাজশাহীতে চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবস্থা না থাকায় বগুড়ায় যাওয়া কষ্টকর। এখানে ওষুধ পেলে স্বস্তি পেতাম।’ রামেক হাসপাতালের এইচটিসি সেন্টারের কাউন্সেলর রেজাউল করিম বলেন, নমুনা পরীক্ষায় এইচআইভি পজিটিভ শনাক্তের পর অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। কেউ কেউ আত্মহত্যার কথাও ভাবতে থাকেন। তাদের কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে মানসিকভাবে দৃঢ় থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। এমএম/ |