
|
‘উত্তেজনা কমাতে’ ইস্তাম্বুলে ফের আলোচনায় বসছে পাক-আফগান
প্রকাশ:
০৬ নভেম্বর, ২০২৫, ০৬:১৬ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
গত মাসে রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সংঘর্ষের পর ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা কমাতে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে আবারও আলোচনায় বসতে চলেছে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের প্রতিনিধিরা। এর আগে এইস্তাম্বুলে টানা পাঁচ দিনের আলোচনার পর শেষ মুহূর্তে দুই প্রতিবেশীর একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি হয়েছিল। জিও নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, কাতারে প্রথম দফা শেষে ২৫ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগান সরকারের মধ্যে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু হয়। তালেবান প্রতিনিধিদলের 'যুক্তি' এবং 'সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের' বিষয়ে ইসলামাবাদের উদ্বেগের সমাধানে অস্বীকৃতি জানানোর পর আলোচনা ভেস্তে যায়। তবে মধ্যস্থতাকারীরা পাকিস্তানকে আলোচনার আরেকটি সুযোগ দেওয়ার জন্য রাজি করান, যার ফলে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার জন্য একটি চুক্তি হয়। পূর্ববর্তী দফার আলোচনার শেষে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সমস্ত পক্ষ যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে এবং শান্তি নিশ্চিত করার জন্য একটি পর্যবেক্ষণ ও যাচাইকরণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে এবং যে কোনো লঙ্ঘনের শাস্তি দিতে সম্মত হয়েছে। এদিকে, সুত্রের বরাতে আফগানভিত্তিক টোলো নিউজ জানিয়েছে, আফগানিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আব্দুল হক ওয়াসিক ইস্তাম্বুলে আফগান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। টেবিলের অন্য পাশে পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান অসীম মালিক। ইসলামাবাদ-কাবুল উত্তেজনা ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে পাকিস্তানে, বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া এবং বেলুচিস্তানে ক্রমবর্ধমান সশস্ত্র হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইসলামাবাদ সরকার বারবার তালেবান সরকারকে পাকিস্তানে হামলার জন্য দায়ী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে লাগাম টানার আহ্বান জানিয়েছে। জিও নিউজ বলছে, তালেবান সরকার মূলত পাকিস্তানের দাবির প্রতি উদাসীন এবং নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো একাধিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কাবুলে 'সশস্ত্র গোষ্ঠীর' নেতাকে লক্ষ্য কর পাকিস্তানের বিমান হামলার পর গত ১২ অক্টোবর উভয় দেশের সীমান্তে গোলাগুলি শুরু হয়। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ২০০ জনেরও বেশি তালেবান যোদ্ধা এবং সংশ্লিষ্ট যোদ্ধাদের হত্যা করে। একইভাবে সংঘর্ষের সময় ২৩ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হন। এলএইস/ |