সুদান সংঘাত: নেপথ্যে আমিরাত-ইসরায়েল?
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৪০ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

সুদানে চলমান গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দেশটির দারফুর অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর আল ফাশির সম্প্রতি র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তিন দিনের অভিযানে ১৫শ'র বেশি সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, ঘটনা জাতিগত নিধনের মতো পরিস্থিতি তৈরি করছে।

সুদানি বিশ্লেষক নাসের ইব্রাহিম মেহের নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, সংঘাতটি শুধু অভ্যন্তরীণ নয় বরং এতে বিদেশি শক্তির সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। তার মতে, আরএসএফ বাহিনী সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)-এর সমর্থন পাচ্ছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলসহ লিবিয়ার জেনারেল হাফতার বাহিনী এবং প্রতিবেশী চাদও বিভিন্নভাবে জড়িত।

ইব্রাহিমের অভিযোগ, আরএসএফ একটি আরবীকরণবাদী মতাদর্শে বিশ্বাস করে এবং তারা সুদানের অ-আরব জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চায়।

এই বিশ্লেষকের মতে, সুদানে বিদেশি স্বার্থের বড় কারণগুলো হলো—সুদানের বিশাল স্বর্ণখনি ও প্রাকৃতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ। অঞ্চলের ভূরাজনীতি এবং কৌশলগত অবস্থান।আঞ্চলিক রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার।

তিনি বলেন, আমিরাতসহ ড্রোনসহ সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে আরএসএফকে শক্তিশালী করছে। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে চাইছে। তবে আমিরাত বা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো এসব অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি।

স্থানীয়দের মধ্যে একটি নতুন স্লোগান ছড়িয়ে পড়েছে, 
সুদানের কোনো বন্ধু নেই, সুদান ছাড়া। সুদানের জনগণের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক মহল কেবল সংবাদ প্রচারেই সীমাবদ্ধ, বাস্তবে তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বিশ্লেষকের দাবি, আরএসএফ নেতাকে সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রধান হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলে পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসতে পারে।

তিনি মনে করেন, দীর্ঘমেয়াদে বিদেশি হস্তক্ষেপকারী শক্তিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কিন্তু এর মূল্য দিতে হচ্ছে সাধারণ সুদানি জনগণকে।

এনএইচ/