
|
কুমিল্লার এতিমখানায় ডাকাতির ঘটনা, ৩ মাসে ১২ গরু লুট
প্রকাশ:
০৩ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:৩৫ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানায় গত ৩ মাসে দুই দফায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে ডাকাতরা ১২টি দুধের গরু লুট করে, যার মোট মূল্য ২৫ লাখ টাকা। সর্বশেষ ঘটনায় শিক্ষক, কেয়ারটেকার ও ছাত্রসহ আটজন আহত হয়েছেন। রোববার (২ নভেম্বর) মাদ্রাসায় গিয়ে এই তথ্য জানা যায়। সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, খামারের আয় দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি চলতো। দুই দফার ডাকাতি ও খামারের বড় গরু লুট হওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ভয় ও আতংক বিরাজ করছে। খামারের এক পাশ খালি পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু রয়েছে। ডাকাতদলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা খামারের সামনে পড়ে আছে, যার মাধ্যমে গরু ভ্যানে তোলা হয়েছিল। এলাকাবাসী গরু উদ্ধার ও ডাকাতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আখতার হোসেন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুইটি পিকআপ গাড়ি নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। এ সময় শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মুঠোফোনগুলো ডাকাতদের কাছে নিয়ে যায়। এরপর তারা মাদ্রাসার পাশ্ববর্তী গরুর খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেধে একে একে ৫টি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। কেয়ারটেকার উৎসব হোসেন জানান, এ গরু খামারের আয়ের অর্থ দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও এ মাদ্রাসার খামারে গত তিন মাসে আগে ৭টি গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা বলেন, লুট হওয়া গরু উদ্ধার ও ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এনএইচ/ |