
|
নির্বাচন কমিশনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের স্মারকলিপি প্রদান
প্রকাশ:
৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ০৫:১৪ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও অবিলম্বে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি প্রদান করেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রতিনিধি দলকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। স্মারকলিপি প্রদান শেষে মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের বাইরে অপেক্ষমাণ গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে ব্রিফিং করেন। এর আগে সকাল ১১টায় সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়ে মিছিল সহকারে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ের দিকে যাত্রা করেন। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ ফয়সাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ হাদী, কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুর্শিদ সিদ্দিকী, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রাকিবুল ইসলাম, যুব মজলিসের সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামান, যুব মজলিসের প্রশিক্ষণ সম্পাদক আল আবিদ শাকিরসহ সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের সফল গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্র সংস্কার ও শাসনব্যবস্থা পুনর্গঠনের পথে এগিয়ে চলেছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের আলোকে গঠিত জুলাই জাতীয় সনদকে জনগণের আত্মত্যাগের প্রতীক এবং জাতির ঐক্যের দলিল হিসেবে উল্লেখ করে এতে আইনি ও টেকসই ভিত্তি প্রদানের দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গণভোট ব্যতীত জুলাই সনদ আইনি স্বীকৃতি পাবে না। জনগণের দাবি, আগামী নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, “জুলাই সনদ হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তে লেখা এক ঐতিহাসিক দলিল। এর বাস্তবায়ন শুধু রাজনৈতিক অঙ্গীকার নয়, এটি জাতির ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার শপথ।” তারা অবিলম্বে গণভোট আয়োজন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ এবং দেশে ফ্যাসিবাদমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। এছাড়া স্মারকলিপিতে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ, পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত ভোট ব্যবস্থা এবং উচ্চকক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR System) চালুর দাবিও পুনর্ব্যক্ত করা হয়। নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন কমিশন জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে গণদাবিসমূহ বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এলএইস/ |