
|
ইসরাইল বর্জন বাড়ছে
প্রকাশ:
৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:২৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর গাজায় ইসরাইলের হামলায় ৬৮ হাজার ৫২৭ জন নিহত হন। আহত এক লাখ ৭০ হাজার ৩৯৫ জন। নিহতদের মধ্যে ২০ হাজারের বেশি শিশু। মধ্যপ্রাচ্যের কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা লিখেছে, ইসরাইলের গণহত্যা সরাসরি সম্প্রচারিত ঘটনা, যা পুরো বিশ্বের মানুষ দেখেছে। হতে পারে এ কারণে ইসরাইল বয়কটের আহ্বান সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। দুই দশক আগে সুপারমার্কেটগুলোতে শুরু হওয়া নীরব বয়কট ব্যাপক ব্যবহৃত অ্যাপে পরিণত হয়, যা লাখ লাখ মানুষের কেনাকাটার পছন্দে প্রভাব ফেলছে। ফিলিস্তিনি-অস্ট্রেলীয় চিকিৎসক ড. মোহাম্মদ মুস্তাফার বাবা-মা উন্নত জীবনের সন্ধানে কয়েক দশক আগে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ ছেড়েছিলেন। গাজায় যুদ্ধ চলাকালে তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন।সামাজিক মাধ্যমে তিনি বলেন, গণহত্যার সরাসরি সম্প্রচার দেখার অভিজ্ঞতা অনেক মানুষকে বদলে দিয়েছে। বছরের পর বছর ফিলিস্তিনিরা অনুভব করেছিল, তারা শূন্যতায় চিৎকার করছে। এখন বিভিন্ন মহাদেশে মানুষ মিছিল করছে, শিল্পকর্ম বানাচ্ছে; ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছে। বিশ্বের বিবেক অবশেষে জেগে উঠছে। যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে গাজায় বিমান হামলা : এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিনের গাজায় যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তা আনুষ্ঠানিক লঙ্ঘন করেছে ইসরাইল। মঙ্গলবার রাতে তারা উপত্যকার গাজা সিটিতে ব্যাপক হামলা চালায়। এর আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলার নির্দেশ দেন। আলজাজিরা জানায়, হামাসের বিরুদ্ধে পণবন্দিদের লাশ হস্তান্তরে বিলম্বের অভিযোগ এনে এ হামলা হয়েছে। তবে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠনটি বলছে, দুই বছর ধরে চলা ইসরাইলের ক্রমাগত বোমা হামলায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে জিম্মিদের মরদেহ। তারা উদ্ধার করে ফেরত দেবেন। বিবিসি লিখেছে, নেতানিয়াহুর হামলার ঘোষণার ২০ মিনিটের মধ্যেই জেরুজালেমের দিকে রওনা করে ইসরাইলের যুদ্ধবিমান। গত ১ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি হলেও ইসরাইল হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল। মঙ্গলবার হামাস আরেক জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয়। গাজার পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরে দখল ও দমনপীড়ন বাড়িয়েছে ইসরাইল। সেখানে জেনিনের এক গ্রামে ইসরাইলের হামলায় গতকাল তিন ফিলিস্তিনি তরুণ নিহত হন। মিডল ইস্ট আই জানায়, ইসরাইল বিমান হামলায় তাদের হত্যা করে। অন্যদিকে, গাজায় গতকালও ড্রোন হামলায় ইসরাইল দুজনকে হত্যা করে। নিউইয়র্ক টাইমসে লিখবেন না ১৫০ বিশিষ্টজন: নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে গাজায় ইসরাইলের গণহত্যার খবর প্রকাশে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। এতে ক্ষুব্ধ ১৫০ জনের বেশি লেখক সংবাদপত্রটিতে না লেখার অঙ্গীকারে সই করেছেন। অঙ্গীকারের চিঠিতে লেখা আছে, যতক্ষণ নিউইয়র্ক টাইমস পক্ষপাতদুষ্ট কাভারেজের জন্য জবাবদিহি না করছে এবং গাজায় মার্কিন-ইসরাইলি যুদ্ধের সত্যতা ও নীতিগতভাবে রিপোর্ট করার প্রতিশ্রুতি দেয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা নিউজরুম বা সম্পাদকীয় পাতায় লিখবেন না। সইকারীদের মধ্যে শিল্পী, রাজনীতিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা এনএইচ/ |