
|
সুষ্ঠু নির্বাচন দাবিতে ইসিতে জামায়াতের ১৮ সুপারিশ
প্রকাশ:
২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ০৯:২৭ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ১৮ দফা সুপারিশ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আগামী নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব করেছে তারা। একই সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে ভোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে– সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) এমন বিধান যেন কোনোভাবেই বদলানো না হয়, সেই দাবিও জানিয়েছে দলটি। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে জামায়াতের প্রতিনিধি দলের বৈঠককালে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, অত্যন্ত খোলামেলা, আন্তরিক ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। আমরা লিখিতভাবে ১৮ দফা দিয়ে বলেছি, এর বাস্তবায়ন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এগুলোর ব্যাপারেও কমিশন কোনো নেতিবাচক কথা বলেনি। আমরা বলেছি, ইসিকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করতে হবে। কারণ বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামো পরিবর্তনে যে সংস্কারগুলোর ব্যাপারে আমরা একমত হয়েছি, জাতিকে সেটি জানতে হবে। জানার পরই তো তারা ‘হ্যাঁ’, ‘না’ ভোট দেবে। সংস্কার ও জাতীয় সনদের বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে দেবে, জনগণ জানবে এবং ভোটাররাও সিদ্ধান্ত নেবেন। সেটির জন্য নভেম্বরই উপযুক্ত সময়। জামায়াতের এই নেতা বলেন, একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে টেকনিক্যাল ও নিরাপত্তাজনিত জটিলতা দেখা দিতে পারে। সহিংসতায় দু-চারটা কেন্দ্রে ভোট বন্ধ হতে পারে। ভোট বন্ধ হলে গণভোটের দশা কী হবে? তাই আমরা আলাদা সময়ে গণভোট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছি। বিএনপির আরপিও সংশোধনের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটের চার মাস আগে বিএনপির এই দাবি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অশনিসংকেত। এর মধ্য দিয়ে ভোটের আগেই বিএনপি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড লঙ্ঘনের মতো আচরণ করছে। কোনোভাবেই আরপিও আর সংশোধন করা যাবে না। ইতোমধ্যে সংশোধিত বিধানের ভিত্তিতেই নির্বাচন হতে হবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে ইসলামী ব্যাংকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের নিয়োগ প্রশ্নে বিএনপির আপত্তির বিষয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, যে কোনো দল বা প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিএনপির বড় বড় নেতা ব্যাংক, প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল চালান। একটা তালিকা আমরাও দিতে পারতাম, কিন্তু আমরা এমন নেতিবাচক রাজনীতি চাই না। ১৮ দফা সুপারিশ এনএইচ/ |