
|
ভৈরবকে জেলা করার দাবিতে একযোগে সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি
প্রকাশ:
২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ০৩:৫৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা ঘোষণা করার দাবিতে এবার নৌপথ অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এতে মেঘনা নদীর ঘাটে এক ঘণ্টা নৌচলাচল বন্ধ ছিল। কর্মসূচি শেষে একযোগে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেন তারা। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় থেকে শুরু হয়ে ভৈরব বাজার লঞ্চঘাট ও কার্গোঘাটে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে এই অবরোধ। কর্মসূচি শেষে ঘোষণা দেওয়া হয়, দাবি বাস্তবায়নে আগামী বৃহস্পতিবার একযোগে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ করা হবে। আন্দোলনকারীরা বলেন, সোমবার শান্তিপূর্ণ রেল অবরোধের সময় কর্মসূচির শেষের দিকে হঠাৎ ট্রেনচালক জোরে ট্রেনের হুইসেল বাজানোর কারণে জনতা নিজেদের সেভ করতে কয়েকটি পাথর নিক্ষেপ করে। তবে এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে থানার ওসির। আমরা ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে পূর্বেও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। আমাদের মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। ভৈরব পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম পাভেল বলেন, ভৈরবকে জেলা ঘোষণা সর্বস্তরের মানুষের দাবি। পূর্বে আন্দোলনের মাধ্যমে ৬৫তম জেলার প্রজ্ঞাপন জারি হলেও পরে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা জেলার দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে মাঠে নেমেছি। ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে রেলপথ অবরোধ, যাত্রীবাহী ট্রেনে পাথর নিক্ষেপভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে রেলপথ অবরোধ, যাত্রীবাহী ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ প্রসঙ্গত, গত সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভৈরব বাজার রেলওয়ে জংশনে চলে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি। ওই কর্মসূচি চলাকালে কিশোরগঞ্জের ভৈরব স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন থামিয়ে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ভৈরবের দুর্জয় মোড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার নৌপথ অবরোধ করেছেন আন্দোলকারীরা। এলএইস/ |