ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ তীব্র হচ্ছে, ত্রাণ শিবিরে ভারতের ৫০ হাজার মানুষ 
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ০৫:০৭ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরের ওপর দিয়ে তীব্রভাবে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ ভারতের পূর্ব উপকূল অঞ্চলে ব্যাপক তাণ্ডব চলাবে করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি তীরে আছড়ে পড়ার আগে সোমবার (২৭ অক্টোবর) ৫০ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করেছে ভারত।

দেশটির জরুরি কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। দক্ষিণের রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ এবং পূর্বের রাজ্য ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চলে স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি তীব্র ঝড়ে পরিণত হতে পারে। দিনের শেষের দিকে এটি অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

অন্ধ্র প্রদেশের একজন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই কাকিনাড়া জেলার উপকূলের কাছাকাছ থাকা লোকদের সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়ে গেছে।

আঞ্চলিক সরকারি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

অন্ধ্র প্রদেশের নিম্নাঞ্চল থেকে পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুর্যোগ দলগুলো তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সরকার আশঙ্কা করছে, ৩৯ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ছাড়া প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার জেলেদের সমুদ্রে যাওয়া এড়াতে সতর্ক করা হয়েছে।

এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এই সাগরে ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে ওড়িশায় আঘাত হানা একটি সুপার সাইক্লোন ১০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটায়। এখনো এটি ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর মধ্যে একটি।

দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর কর্তৃপক্ষ কিছু জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের পর জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। রাজ্যটির রাজধানী চেন্নাই বন্যার ঝুঁকিতে থাকে।

হিমালয় দেশ নেপালে দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সম্ভাব্য বৃষ্টিপাত এবং তুষারপাতের বিষয়ে সতর্ক করেছে। এই মাসে নেপালজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা এবং ভূমিধসে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এলএইস/