
|
ইসরাইলি খনন পরিকল্পনায় আল-আকসার অবকাঠামো ঝুঁকির মুখে
প্রকাশ:
২৪ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:১৩ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
পবিত্র আল-আকসা মসজিদ, যা ইসলামের তৃতীয় প্রধান পবিত্র স্থান হিসেবে গণ্য, সেই মসজিদকে ঘিরে সম্প্রতি নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইসরাইলের দখলদার কার্যক্রম ও আশপাশের খননকাজের কারণে মসজিদের স্থাপত্যিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যদি এই কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকে, তবে ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদ ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেরুজালেম গভর্নরেটের উপদেষ্টা মারুফ আল-রিফাই ফিলিস্তিনি সংবাদসংস্থা ওয়াফা-কে জানান, ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরেই আল-আকসা মসজিদ ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করছে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মসজিদের আশেপাশে খননকাজ চালানো হচ্ছে। এই খননকাজ মূলত পুরোনো শহরের ঐতিহাসিক ও ইসলামি চরিত্রকে মুছে ফেলার এবং জেরুজালেমকে ‘ইহুদিকৃত শহর’ হিসেবে উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে। আল-রিফাই জানিয়েছেন, খননকাজগুলো ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ ‘সিটি অব ডেভিড’ নামে পরিচিত এলাকায় করছে। মসজিদের পাশের পুরোনো জলপথ শুকিয়ে সুড়ঙ্গ, জাদুঘর ও সিনাগগে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ‘জাব্বানা মার্কেট’ নামে পরিচিত একটি সুড়ঙ্গকে এখন ইহুদি পর্যটন পথে পরিণত করা হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডের কারণে আল-আকসা মসজিদের নিচের অবকাঠামো ঝুঁকির মুখে পড়েছে। জেরুজালেম প্রশাসনের মতে, ইসরাইল ‘ধর্মীয় গল্পগাঁথার’ অজুহাতে নতুন দখল বাস্তবতা তৈরি করছে, যাতে ফিলিস্তিনিদের উপস্থিতি কমিয়ে বসতি স্থাপনকারীদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা যায়। পাশাপাশি এটি মূলত পুরোনো জেরুজালেমের আরব-ইসলামি চরিত্র ধ্বংস করার একটি পরিকল্পিত পদক্ষেপ। আন্তর্জাতিক তদারকির আড়ালে গোপন বা আধা-গোপনে এই খনন কাজগুলো সম্পন্ন হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটি ‘জেরুজালেমকে একটি ইহুদি শহর’ হিসেবে প্রমাণ করার ইহুদিকরণ প্রকল্পের অংশ। এছাড়া, শেখ জাররাহ মহল্লায় ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ ও দখল জোরদারের পাশাপাশি সেখানে কঠোর সামরিক অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। বিশেষ সময়ে এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক যান মোতায়েন করা হয়, একাধিক তলা বিশিষ্ট চৌকি বসানো হয় এবং প্রধান সড়কগুলো বন্ধ করা হয়। এর ফলে স্থানীয়দের দৈনন্দিন জীবন প্রায় অচল হয়ে পড়ে। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা, ওয়াফা নিউজ এজেন্সি এনএইচ/ |