ভোলায় শিবির নেতার উপর হামলা, অবস্থা আশঙ্কাজনক
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর, ২০২৫, ০৭:২৮ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

হাসনাইন আহমেদ হাওলাদার, ভোলা প্রতিনিধি:

ভোলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকাল তিন টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার  পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও লালদিঘীর মধ্যবর্তী স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিবির নেতা মোঃ রোমান (২২) বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ সোহাগ মিয়ার ছেলে। রোহান জানান, “তারা (সন্ত্রাসীগণ) আমাকে ডেকে বলে, তুই নেতাগিরি করস! এই বলে বুকে এলোপাতাড়ি ঘুষি মারে এবং প্লাস্টিকের ফাইব দিয়ে পায়ে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে। আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা আমাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।”

পরে স্থানীয়রা রোহানকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করে।

উপজেলা শিবির সভাপতি মইন বিন সাইফুল্লাহ জানান, “রোমানকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। পরবর্তীতে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমির বলেন, “৫ আগস্টের পর রাজনৈতিকভাবে সব দলের মধ্যে সহাবস্থান চলছে। সবাই নিজ নিজ কর্মসূচি পালন করছে। হঠাৎ করে কারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এই হামলা চালিয়েছে আমরা জানি না। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।

অন্যদিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা পূর্ব শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “এই কাপুরুষোচিত হামলা কেবল একজন তরুণ সংগঠকের উপর নয়, এটি দেশের শান্তিপ্রিয় শিক্ষার্থী সমাজের উপর আঘাত। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।

ভোলা-২ আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক মুফতি মোঃ ফজলুল করীম তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত ভোলা-২(বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মুফতি ইমাম মোঃ রেযাউল কারীম বুরহানী বলেন, “রাজনৈতিক মতভেদের কারণে সহিংসতা কোনভাবেই কাম্য নয়। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন দোষীদের আইনের আওতায় আনা হয়।

বোরহানউদ্দিন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ঘটনা শুনে থানা ডিউটি অফিসার কে সাধারণ ডাইরি করার নির্দেশ দেন।

আরএইচ/