সুস্থতার জন্য কিছু পরামর্শ
প্রকাশ:
২২ অক্টোবর, ২০২৫, ০৬:৫১ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
||সাইবা সিদ্দীকা|| সুস্থতা আল্লাহ তা'আলার একটি বিশেষ নিয়ামত। হাদিস শরিফে আল্লাহর রাসুল এরশাদ করেছেন, ‘সুস্থতাকে মূল্যায়ন করো অসুস্থ হওয়ার আগে।’ সুস্থতা অর্জনের জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করা। কয়েকটি বিষয় মেনে চলার মাধ্যমে তা সম্ভব হবে। নিয়মিত সঠিক সময়ে খাবার, ঘুম ইত্যাদির অভ্যাস করা। সকালের খাবার সাতটা থেকে আটটার মধ্যে, দুপুরের খাবার দুপুর দুইটার মধ্যে এবং রাতের খাবার ঘুমানোর দুই ঘণ্টা পূর্বে রাত আটটার মধ্যে খাওয়া হলে সবচেয়ে ভালো। সারাদিনের পরিশ্রম, পেশার উপর ভিত্তি করে ডায়েট চার্ট তৈরি করা। যাদের পরিশ্রম কম হয় তাদের উচিৎ কার্বোহাইড্রেট কম গ্রহণ করা। গুড ফ্যাট গ্রহণ করা যেমন বাটার, ঘি। সয়াবিন তেল এড়িয়ে চলা। দিনের যে কোনো ত্রিশ মিনিট হাঁটাহাঁটি করা। অন্তত ত্রিশ মিনিট ঘাম ঝরিয়ে ব্যায়াম করা। ফাস্টফুড এড়িয়ে চলা। সবুজ শাকসবজি বেশি বেশি খাওয়া। তিন বেলা মূল খাবারের মাঝে ক্ষুধা পেলে লো ক্যালরি খাবার গ্রহণ। যেমন শশা, কমলালেবু। রাতে দশটা থেকে চারটা পর্যন্ত কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা টানা ঘুমানো। স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণ করা। কাজের সময়ে ২০ মিনিট পরপর ২০ সেকেন্ড দূরের কোনো কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকা। প্রয়োজনে মাসে বা সপ্তাহে একদিন ডিজিটাল ডিটক্স অনুশীলন করা। রাসুলের জীবনের দিকে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই তিনি কীভাবে প্রতিটি কাজে সময় ভাগ করে নিতেন। ফজরের পর না ঘুমিয়ে ইবাদাত করতেন। তারপর সারাদিনে রাষ্ট্রপরিচালনার বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতেন, দুপুরে সামান্য বিশ্রাম নিতেন। রাতে এশার পর পরিবারকে সময় দিতেন। দৈনন্দিন জীবনে রুটিন মেনে চলার কারণে তাঁর সময়ে বরকত পেতেন। সব কাজ পূরণ হয়ে যেতো। অধিকাংশ দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক সমস্যা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে হয়। যেমন: উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস, কিডনির সমস্যা ইত্যাদি। এসব অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব সুস্থ জীবনযাপনের মাধ্যমে। এছাড়াও অত্যাধিক স্ক্রিন টাইমের ফলে সব বয়সী মানুষের মাঝে অনিদ্রা মহামারি আকার ধারণ করেছে। মোটকথা, জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে, একজন সফল ও সুখী মানুষ হতে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের বিকল্প নেই। আল্লাহর দেয়া নেয়ামতের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। উম্মাহর কল্যাণে কাজ করার জন্য আমাদের সুস্থতা দরকার। আলী (রা.) যুদ্ধের সময় দরজাকে ঢাল বানিয়ে বহন করেছেন, পরবর্তীতে ৪০ জন মিলেও তা তুলতে পারেন নি। আর আজ অনিয়মের কারণে আমাদের কী হালত? পরিবেশ দূষণ ও ভেজাল খাবারের যুগে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা কঠিন। যাদের পক্ষে সম্ভব ভেজালমুক্ত খাবার নিয়ে কাজ করা যায়, আগামী প্রজন্মের কল্যাণে। লেখিকা: শিক্ষার্থী, অনলাইন মাদরাসা এলএইস/ |