যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নির্ভর করছে আফগানের ওপনের: পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর, ২০২৫, ০৩:৫৩ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেছেন,  আফগানিস্তানের সঙ্গে ‘নাজুক যুদ্ধবিরতি’র স্থায়িত্ব নির্ভর করছে দেশটির তালেবান সরকার সীমান্তপথে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অনুপ্রবেশ ও হামলা বন্ধ করতে পারে কি না, তার ওপর।

সোমবার (২০ অক্টোবর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘এই একটি শর্তের ওপরই সবকিছু নির্ভর করছে।’

রয়টার্সের সঙ্গে খাজা আসিফ কথা বলার এক দিন আগে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এক সপ্তাহ ধরে সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। 

পাকিস্তানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ইসলামাবাদ কাবুলের কাছে দাবি জানায়, তারা যেন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণ করে। 

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষমন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ বলেন, আফগানিস্তান থেকে আসা যেকোনো হুমকি এই চুক্তির লঙ্ঘন বলে গণ্য হবে।

আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষমন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুবের সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্বদানকারী আসিফ আরও বলেন, সীমান্তে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ঘটতে দেওয়া হবে না বলে লিখিত চুক্তিতে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আসিফ অভিযোগ তুলে বলেন, টিটিপি আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবানের ‘যোগসাজশে’ কাজ করছে। তবে তালেবান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওপর পাল্টা অভিযোগ তুলে আফগানিস্তান দাবি করেছে, তারা দেশটির স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্ব নষ্ট করতে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে এবং আইএসআইএল (আইএসআইএস)–সংশ্লিষ্ট যোদ্ধাদের আশ্রয় দিচ্ছে।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, চুক্তির শর্তানুযায়ী কোনো দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে বৈরী কার্যক্রম চালাবে না কিংবা পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে হামলা চালানো গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থনও দেবে না। উভয় দেশ একে অপরের নিরাপত্তা বাহিনী, বেসামরিক জনগণ বা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা থেকে বিরত থাকতে সম্মত হয়েছে।

পাকিস্তান তালেবান বছরের পর বছর ধরে ইসলামাবাদের সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। কয়েক মাস ধরে তারা পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে।

এলএইস/