গাজায় ফের বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইলের 
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ০৪:২৪ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

গাজা উপত্যকায় আবারও বিমান হামলা শুরু করেছে দখলদার ইসরাইল। রোববার (১৯ অক্টোবর) যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে জায়নিস্ট বাহিনী এ হামলা চালিয়েছে বলে জানায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা। 

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো রাফা ও দক্ষিণ গাজার বিভিন্ন এলাকায় হামলার খবর দিচ্ছে। ইসরাইলের চ্যানেল ১২ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ এবং সেনা কর্মকর্তারা এক ফোনালাপে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন।

ইসরাইলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম জানায়, হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ‘গোলাগুলি বিনিময়’-এর পর এই হামলা চালানো হয়। 

ইসরাইলি মিডিয়ার দাবি, দক্ষিণ গাজার রাফা এলাকায় ‘সন্ত্রাসী তৎপরতার’ জবাব হিসেবেই এ অভিযান চালানো হয়েছে। 

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো আরও জানায়, রাফায় সামরিক যান বিস্ফোরণে ইসরাইলের দুই সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।  

এদিকে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাম্প্রতিক অভিযোগকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল, হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ‘আসন্ন হামলার প্রস্তুতি’ নিচ্ছে।

বিবৃতিতে হামাস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই মন্তব্য সম্পূর্ণভাবে ইসরাইলি দখলদারদের বিভ্রান্তিকর প্রচারণার সঙ্গে মিলে যায় এবং এটি ইসরাইলের চলমান সংগঠিত অপরাধ ও আগ্রাসনের জন্য রাজনৈতিক আড়াল তৈরি করে।

হামাসের দাবি, বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা অভিযোগ করে, ইসরাইল নিজেরাই সশস্ত্র অপরাধী গোষ্ঠী গঠন, অস্ত্র সরবরাহ ও অর্থায়ন করছে—যারা ফিলিস্তিনি নাগরিকদের হত্যা, অপহরণ, ত্রাণবাহী ট্রাক লুট ও সম্পদ চুরিতে জড়িত।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসব অপরাধে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর সম্পৃক্ততা নিজস্ব গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে।  

হামাস জানায়, গাজার পুলিশ বাহিনী ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় আইনসম্মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব অপরাধী চক্রকে শনাক্ত ও বিচার করার কাজ চলছে, যাতে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়।

সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানায়, ইসরাইলি দখলদারদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন বন্ধে তেলআবিবকে নিয়ন্ত্রণে আনতে।

বিবৃতির শেষে হামাস পুনর্ব্যক্ত করে, তারা ফিলিস্তিনি জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা ও সংগঠিত আগ্রাসন ও অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা প্রতিরোধে অঙ্গীকারবদ্ধ।

এলএইস/