‘জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে নাগরিকদের সমঅধিকার নিশ্চিত করবে ’
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ০১:৫৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি, ঢাকা-৫ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে সকল নাগরিকের সমঅধিকার নিশ্চিত করবে।’

শনিবার রাতে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ডেমরা দক্ষিণ থানার গ্রীন সিটি ওয়ার্ডের উদ্যোগে স্থানীয় বাড়িওয়ালাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপসহীন। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জামায়াতের নেতৃবৃন্দ ফাঁসি মঞ্চে গিয়েছে তবুও আধিপত্যবাদের কাছে মাথানত করেনি, আপস করেনি। জামায়াতে ইসলামীর সকল প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ দখল করে নিয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে শুরু করে ইউনিয়ন- এমনকি ওয়ার্ড পর্যায়ের অফিসগুলোও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবুও জামায়াতে ইসলামীকে এক দিনের জন্যও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি, করা যায়নি। জামায়াতে ইসলামী মানুষের মাঝেই ছিল, মানুষের কল্যাণে নানাবিধ সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।’

এসময় তিনি আরো বলেন, ‘অতীতে একজন মানুষ তার সারাজীবনের কষ্টার্জিত টাকায় বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে হয়েছে। চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, কেবল চাঁদাবাজের হাত বদল হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে এক পয়সাও কেউ চাঁদা দিতে হবে না। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের ঠিকানা হবে কারাগার।’

তিনি উপস্থিত বাড়িওয়ালাদের উদ্দেশে বলেন, জনগণ তাকে নির্বাচিত করলে ঢাকা-৫ সংসদীয় এলাকাকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতি ও মাদক মুক্ত করে নতুন বাংলাদেশের একটি মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবেন। তাই তিনি স্থানীয়দের সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য ও ডেমরা দক্ষিণ থানা আমির মির্জা হেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর মজলিসে শূরা সদস্য ও ডেমরা দক্ষিণ থানা নায়েবে আমির মাওলানা আবু তালেব মিয়া, ডেমরা দক্ষিণ থানার কর্মপরিষদ সদস্য ও গ্রীন সিটি ওয়ার্ডের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

এছাড়াও ডেমরা দক্ষিণ থানা ও গ্রীন সিটি ওয়ার্ডের অন্যান্য দায়িত্বশীলবৃন্দসহ স্থানীয় এলাকাবাসী, বাড়িওয়ালা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।