গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ড্রোন হামলা ও গুলি ইসরায়েলের
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর, ২০২৫, ০৮:৫২ সকাল
নিউজ ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও ইসরায়েলের হামলা থেমে নেই। এসব হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ যাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। সেই সঙ্গে মিসরের সঙ্গে গাজার সীমান্তের রাফা ক্রসিং বন্ধ করে উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আইডিএফ। তারা জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। হামাস বলেছে, তাদের কাছে থাকা সব মরদেহ ফেরত পাঠানো হয়েছে। বাকিরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় খুঁজে বের করে ফেরত পাঠানো হবে। 

গাজায় ভবনের ধ্বংসস্তূপে ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি চাপা পড়ে আছেন, যাদের কোনো খোঁজ মিলছে না। এ অবস্থায় হামাস ইসরায়েলের কাছে মরদেহ ফেরত দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছে। 

বৃহস্পতিবার দ্য গার্ডিয়ান অনলাইন জানায়, হামাস বলেছে– ধ্বংসাবশেষ থেকে বাকিদের উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ ও উদ্ধার সরঞ্জাম ছাড়া তারা মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের আর কোনো দেহাবশেষ ফেরত দিতে পারবে না। 

এ বক্তব্যের পর শর্ত ভাঙার অভিযোগ তুলে গাজায় আবারও হামলা শুরু করার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। এর আগে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠনটির এক নেতা বলেন, ইসরায়েলের গণহত্যামূলক হামলা ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে মরদেহ পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। 

আল জাজিরা জানায়, গতকাল দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের বানি সুহেইলা এলাকায় ইসরায়েল ড্রোন হামলা চালায়। এতে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। এ ছাড়া মধ্যগাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর গুলিতে আরও একজন নিহত হন। গাজা সিটির এক বাসিন্দা দুদিন আগে আইডিএফের গুলিতে আহত হয়েছিলেন। গতকাল তিনি মারা গেছেন।

এনএইচ/