শরিয়াহ পালনে ব্যাংকগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করুন: শায়খ আহমাদুল্লাহ
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০৮:৫৮ রাত
নিউজ ডেস্ক

ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তা শরিয়াহভিত্তিক পথে চলতে চান, তাদের জন্য শরিয়াহভিত্তিক বাড়ি ও গাড়ি কেনার লোন চালুর পরামর্শ দিয়েছেন ইসলামি আলোচক ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী আমাকে জানিয়েছেন, হাউজ লোন বা গাড়ি লোনের ক্ষেত্রে ইসলামি ব্যাংকিং অনুসরণ করতে চান বা শরিয়াহ মেনে চলতে চান। তাদের জন্য যদি সেই নীতি বা পদ্ধতি চালু করা হয়, তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের জন্য তা সহায়ক হবে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত সিরাত মাহফিলে আলোচনাকালে শায়খ আহমাদুল্লাহ এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আনিচুর রহমান এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আফতাব উদ্দিন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আমি আশা করব, যেসব কর্মকর্তা দ্বীন পালন করতে চান, কর্তৃপক্ষ এটি বিবেচনায় নেবে। তাদের জন্য ইসলামি ব্যাংকিংয়ের পথ খোলা রাখবে। যদি চালু করা হয়, তবে তাদের হক বা অধিকার আদায় হবে।

শরিয়াহ ব্যাংকগুলোতে শরিয়াহ পালন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে ইসলামি ব্যাংকগুলোতে ঠিকমতো শরিয়াহ মেনে চলা হচ্ছে কি না—এ ব্যাপারে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা দরকার। এক্ষেত্রে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে, আমি বিশ্বাস করি, সেগুলো দিয়েই এটি নিশ্চিত করার পথ সুগম হবে।

আহমাদুল্লাহ বলেন, গ্রাহকদের শরিয়াহ সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার বিষয়ে একটি সার্ভিস সিস্টেম চালুর কথা আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি। অনেকেরই এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা নেই। যেমন, শুধু সুনির্দিষ্ট পদ্ধতির কারণে বিবাহ ও জিনা—একটি হালাল, আরেকটি হারাম; তেমনি ব্যাংকিংও যদি নির্দিষ্ট নিয়মে হয়, শরিয়াহ সমর্থন করবে, না হলে করবে না। আমি যার কাছ থেকে সার্ভিস নিচ্ছি, আমি যদি জানি কোনভাবে শরিয়াহ ভঙ্গ হচ্ছে আর কোনভাবে হচ্ছে না—এটা জানার ব্যবস্থা থাকলে ব্যাংকগুলোকে কোনো না কোনো সিস্টেম চালু করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা যখন কথা বলব, তখন আল্লাহ পাক ন্যায়সঙ্গত আচরণের নির্দেশ দিয়েছেন। কোরআনে কারিমে বহু জায়গায় ন্যায়বিচারের কথা বলা হয়েছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সব ক্ষেত্রেই ইনসাফ করতে হবে।

এলএইস/