লাগাতার ধর্মঘটে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ০১:১৮ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন শিক্ষকরা।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোট আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে এই অবস্থান ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হয়।

আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মো. সামছুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মাওলানা মোহাম্মদ আল-আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. তাজুল ইসলাম ফরাজী, সাধারণ শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. জাকির হোসেন, অনুদানবিহীন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা বশির উল্লাহ আতাহারীসহ বিভিন্ন জেলার শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি সরকার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোকে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেয়। কিন্তু দীর্ঘ নয় মাস পার হলেও সে ঘোষণা বাস্তবায়িত হয়নি। এতে দেশের হাজার হাজার শিক্ষক পরিবার আজও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব গত ১৪ সেপ্টেম্বর আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করে এক মাসের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা না হওয়ায় শিক্ষকরা পুনরায় রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।

বক্তারা আরও জানান, বৈঠকের পর মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের যুগ্ম সচিব এস এম মাসুদুল হক এবং অর্থ বিভাগের উপসচিব রাহাত আব্দুল মান্নান জাতীয় প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে দ্রুত দাবি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন। কিন্তু ঘোষণার পরও তা কার্যকর হয়নি।

সরকারের কাছে তাদের প্রধান দাবি হলো— ২৮ জানুয়ারির জাতীয়করণের ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে প্রেরিত ১০৮৯টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির যাচাই-বাছাইকৃত ফাইল দ্রুত অনুমোদন করে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা।

একই সঙ্গে অনুদানবিহীন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোর জন্য এমপিও আবেদন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া, এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃষ্টির ব্যবস্থা করা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার জন্য আলাদা অধিদপ্তর স্থাপন করা।

এলএইস/