জুলাই আন্দোলনে মাদরাসা ছাত্রদের অবদানের কথা স্মরণ করলেন তারেক রহমান
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর, ২০২৫, ০৫:১৬ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে মাদরাসা ছাত্রদের অভূতপূর্ব অবদানের স্বীকৃতি বিভিন্ন মহল থেকে এসেছে। এবার মাদরাসা ছাত্রদের সেই ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জুলাই আন্দোলনের অবদানে অবদান রাখা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের মধ্যে মাদরাসা ছাত্রদের এগিয়ে রেখেছেন তিনি।

বিবিসি বাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান এই কথা বলেন। প্রায় দুই দশক পর কোনো গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকার দিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তার সাক্ষাৎকারের প্রথম অংশটি সোমবার (৬ অক্টোবর) প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় অংশটি আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) প্রকাশিত হবে।

বিবিসির সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- আপনার দলের কোনো কোনো নেতা বা সমর্থক তারা এই অভ্যুত্থানে আপনাকে 'একমাত্র মাস্টারমাইন্ড' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। আপনি কি নিজেকে এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দেখেন?

জবাবে তারেক রহমান বলেন, না, আমি অবশ্যই এই জুলাই আন্দোলনে আমাকে আমি কখনোই মাস্টারমাইন্ড হিসেবে দেখি না। এই যে পাঁচই অগাস্ট যেই আন্দোলন, জুলাই আন্দোলন বলে যেটি বিখ্যাত বা যেটি সকলের কাছে গৃহীত এই আন্দোলনটি সফল হয়েছে জুলাই মাসে। কিন্তু এই আন্দোলনটি প্রেক্ষাপট শুরু হয়েছে কিন্তু বহু বছর আগে থেকে।

এই আন্দোলনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা, সেটি বিএনপি হোক বা অন্য রাজনৈতিক দলগুলো হোক, যারা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছে। বিভিন্নভাবে তাদের নেতাকর্মীরা নির্যাতিত হয়েছে।

আমি মনে করি জুলাই-অগাস্ট মাসে এসে জনগণ সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের সাথে অংশগ্রহণ করেছে। শুধু কী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাই সেদিন ছিল মাঠে? অবশ্যই নয়।

আমরা দেখেছি সেদিন মাদরাসার ছাত্ররা তারা ছিলেন এই আন্দোলনের মাঠে। আমরা দেখেছি গৃহিনীরা পর্যন্ত রাস্তায় নেমে এসেছেন সন্তানের পেছনে। আমরা দেখেছি কৃষক, শ্রমিক, সিএনজি চালক, ছোট দোকান কর্মচারী বা দোকান মালিক থেকে আরম্ভ করে গার্মেন্টস কর্মী - তারা নেমে এসেছিলেন। আমরা দেখেছিলাম সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা নেমে এসেছিলেন এই আন্দোলনে।

এমন অনেক সাংবাদিক যারা স্বৈরাচারের অত্যাচারে নির্যাতিত হয়ে দেশ থেকে বাইরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন, তারা সম্পৃক্ত হয়েছিলেন এই আন্দোলনে। কাজেই কারো ভূমিকাকে আমরা ছোট করে দেখতে চাই, না খাটো করে দেখতে চাই না।

আমি বিশ্বাস করি দৃঢ়ভাবে সমাজের দল মত নির্বিশেষে শ্রেণীবিন্যাস নির্বিশেষে প্রত্যেকটি মানুষের অবদান আছে।

এই আন্দোলন ছিল বাংলাদেশের জনগণের আন্দোলন, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড। কোনো দল কোনো ব্যক্তি নয়, এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ।

প্রসঙ্গত, জুলাই আন্দোলনে মাদরাসা ছাত্রদের ভূমিকার কথা ব্যাপকভাবে আলোচিত একটি বিষয়। শয়ের কাছাকাছি মাদরাসা ছাত্র এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। আহত হয়েছেন হাজারের বেশি। ইতোমধ্যে সরকারিভাবে মাদরাসা ছাত্রদের অবদানের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আরএইচ/