মেয়াদ ফুরালে অবশ্যই ফেলে দিতে হবে যেসব খাবার
প্রকাশ:
০৬ অক্টোবর, ২০২৫, ০৯:৩৫ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
প্রতিটি খাবার বা খাদ্যপণ্যেরই একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। সেই মেয়াদ পার হয়ে গেলে তা আর ব্যবহার করা একেবারেই উচিৎ নয়। অনেক সময় খাবারের গন্ধ ভালো মনে হলেও তা নিরাপদ নাও হতে পারে। কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলোর মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে অবশ্যই ফেলে দিতে হবে—ঘ্রাণ বা স্বাদ যেমনই লাগুক না কেন। পণ্যের মোড়ক, বোতল বা বয়ামে সাধারণত মেয়াদ সম্পর্কিত নির্দেশনা দেওয়া থাকে—যেমন “Best Before”, “Expiry Date” বা “Do Not Use After”। “Do Not Use After” বা “Expiry Date” পেরিয়ে গেলে সেই খাবার আর ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। এতে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। “Best Before” তারিখের অর্থ হলো, নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে খাবারটি ব্যবহার করলে মান বজায় থাকবে। তবে তার পরেও খাওয়ার যোগ্য থাকতে পারে, যদিও মানে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সাধারণত শুকনো বা ফ্রোজেন খাবারে এমন তারিখ দেওয়া হয়। মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে যেসব খাবার কখনোই ব্যবহার করা উচিত নয় প্যাকেটজাত তরল দুধ: ফ্রিজে রাখলেও প্যাকেটজাত তরল দুধ সর্বোচ্চ ৭ দিন ভালো থাকে। এরপর জীবাণু জন্মাতে শুরু করে। মেয়াদোত্তীর্ণ দুধ পান বা রান্নায় ব্যবহার করা বিপজ্জনক হতে পারে। বেকিং পণ্য: কেক মিক্স, বেকিং পাউডার, ইস্ট, জ্যাম, জেলি প্রভৃতি পণ্যের কার্যকারিতা মেয়াদ পেরোলেই নষ্ট হয়ে যায়। তাই নির্ধারিত সময়ের পর এসব ব্যবহার করবেন না। নরম পনির (Soft Cheese): সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। পনিরের ধরন অনুযায়ী মেয়াদ ভিন্ন হতে পারে। নির্ধারিত সময়ের পর নরম পনির খেলে খাদ্যবাহিত রোগের ঝুঁকি থাকে। বয়াম বা বোতলে রাখা কন্ডিমেন্ট: সস, কেচাপ, মেয়োনেজ, কাসুন্দি, কিমচি ইত্যাদি কন্ডিমেন্টের মেয়াদ বিভিন্ন রকম। কারও এক মাস, কারও এক বছর। উল্লেখিত তারিখ পেরিয়ে গেলে এগুলো ব্যবহার করা ঠিক নয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি ঘ্রাণ বা রঙে পরিবর্তন আসে, তবুও ফেলে দিতে হবে। ফলের রস (Juice): ফলের রস দ্রুত নষ্ট হয়। প্রক্রিয়াজাত করা হলেও প্যাকেট বা বোতলে দেওয়া মেয়াদ পেরিয়ে গেলে তা অনিরাপদ হয়ে পড়ে। মেয়াদোত্তীর্ণ ফলের রস পান করলে পেটের সমস্যা ও খাদ্যে বিষক্রিয়া হতে পারে। খাবারের ঘ্রাণ বা চেহারা দেখে নিরাপদ মনে হলেও মেয়াদোত্তীর্ণ হলে তা ব্যবহার না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে শুধু খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত হয় না, বরং দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থেকেও সুরক্ষা পাওয়া যায়। এনএইচ/ |