নর্থসাউথ শিক্ষার্থীর কোরআন অবমাননার বিচার না হলে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ: হেফাজত
প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর, ২০২৫, ০২:৫০ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব রাদের কোরআন অবমাননার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

রোববার (৫ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন সংগঠনের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান।

বিবৃতিতে তারা ওই শিক্ষার্থীর কোরআন অবমাননার দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত না করলে ঢাকা অভিমুখে লংমার্চের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব রাদের কোরআন অবমাননার জঘন্য দৃশ্য দেশের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। ওই শিক্ষার্থী নিজেই তার ফেসবুক প্রোফাইলে কোরআন অবমাননার ভিডিওচিত্র প্রচার করে আরও বড় অপরাধ করেছেন। এতে বোঝা যায়, এ কাজ তিনি সজ্ঞানে করেছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিতের দাবি করছি। এর আগে ক্লাসে হাদিস উল্লেখ করায় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এক শিক্ষককে চাকুরিচ্যুত করেছিল। অপূর্ব রাদের কোরআন অবমাননার ঘটনায় এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্যও আসতে হবে।

তারা আরও বলেন, ভাইরাল ভিডিওতে তার অঙ্গভঙ্গি, কথাবার্তা ও উগ্রতা দেখে কোনোভাবেই তাকে পাগল মনে হয়নি, বরং মনে হয়েছে— এ ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সে ঘটিয়েছে। অপূর্ব রাদের এই জঘন্য অপরাধের পেছনে দেশি- বিদেশি কোনো এজেন্সির সম্পৃক্ততা থাকলে তা সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে উসকানি দিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

হেফাজতের আমির ও মহাসচিব বলেন, ইসলাম ও রাসূল (সা.)-এর অবমাননা ঘটলেই ক্ষুব্ধ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধৈর্যের সবক শেখাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন কেউ কেউ। আমরা অতীতেও বারবার ন্যায়বিচারের আশায় ধৈর্য ধরেছি। কিন্তু শেষে আর বিচার হয় না। এমনকি কুৎসিত ভাষায় ধর্ম অবমাননাকারী রাখাল রাহা ও কবি সোহেল হাসান গালিবের ক্ষেত্রেও আমরা ধৈর্যের সঙ্গে আইনের ওপর আস্থা রেখেছিলাম। কিন্তু তাদের কোনো বিচার হয়নি। ধৈর্য ও শান্তির মুলো ঝুলিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সাথে বারবার প্রতারণা করা হয়েছে। ফিলিস্তিন থেকে বাংলাদেশ-একই চিত্র!

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আমরা আর প্রতারিত হতে চাই না। ধর্ম অবমাননা রোধ করতে হলে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন করার কোনো বিকল্প নেই। সরকার কোরআন অবমাননাকারী অপূর্ব রাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত না করলে আমরা দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে পরামর্শ করে ঢাকা অভিমুখে লং মার্চের ডাক দিতে বাধ্য হবো। আমরা যথেষ্ট ধৈর্য দেখিয়েছি। আর ছাড় দেওয়া যাবে না।

আরএইচ/