ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়ায় বিস্মিত নেতানিয়াহু, লাপিদের চোখে "অভূতপূর্ব সুযোগ"
প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

||মুহাম্মাদ শোয়াইব||

ওয়াশিংটনভিত্তিক অ্যাক্সিওস সংবাদমাধ্যমকে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়ায় বিস্মিত হয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। অন্যদিকে, বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ায়ির লাপিদ ট্রাম্পের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্ত করার জন্য এটি "অভূতপূর্ব সুযোগ"।

ওই কর্মকর্তার মতে, ট্রাম্পের ঘোষণার আগে নেতানিয়াহু মনে করেছিলেন যে, হামাসের প্রতিক্রিয়া আসলে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান। তবে ইসরায়েলি টেকনিক্যাল টিম এটিকে ইতিবাচক সাড়া হিসেবে দেখেছে, যা একটি সম্ভাব্য চুক্তির পথ খুলে দেয়।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, "হামাসের প্রতিক্রিয়ার আলোকে ইসরায়েল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।"

এদিকে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে গাজায় সামরিক কার্যক্রম সীমিত করে শুধুমাত্র প্রতিরক্ষামূলক পর্যায়ে রাখতে।

ইয়ায়ির লাপিদ বলেন, "ট্রাম্প ঠিকই বলেছেন, এখন বন্দিদের মুক্ত করা ও যুদ্ধ শেষ করার এক অনন্য সুযোগ এসেছে।" তিনি আরও জানান, তিনি আমেরিকান প্রশাসনকে অবহিত করেছেন যে, এই চুক্তিতে অগ্রসর হওয়ার জন্য নেতানিয়াহু রাজনৈতিক সমর্থন পাচ্ছেন।

গাজায় আটক ইসরায়েলি পরিবারগুলোর সংগঠন এক বিবৃতিতে জানায়, "বন্দিদের ফিরিয়ে আনা এবং যুদ্ধ শেষ করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে আমরা সমর্থন জানাই।" তারা আরও দাবি করে, যুদ্ধ বন্ধ করা এখন জরুরি, যাতে বন্দিদের জীবন বিপন্ন না হয়।

শুক্রবার রাতে হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, তারা সব জীবিত ও মৃত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিতে এবং গাজার প্রশাসন স্বাধীন ফিলিস্তিনি ব্যক্তিদের হাতে হস্তান্তরে সম্মত।

প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে লেখেন, হামাসের ঘোষণায় স্পষ্ট হয়েছে যে তারা "স্থায়ী শান্তির জন্য প্রস্তুত"। তিনি ইসরায়েলকে আহ্বান জানান গাজায় বোমাবর্ষণ অবিলম্বে বন্ধ করতে, যাতে দ্রুত ও নিরাপদে বন্দিদের মুক্ত করা যায়।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে গাজায় ৪৮ জন ইসরায়েলি বন্দি রয়েছে, যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত।

এনএইচ/