গরমে মাইগ্রেন এড়ানোর উপায়
প্রকাশ:
০২ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:২০ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
মাইগ্রেন একটি স্নায়বিক ব্যাধি, যা তীব্র মাথাব্যথা সৃষ্টি করে। সাধারণত ৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা স্থায়ী হয় এবং এর সঙ্গে বমি বমি ভাব, বমি, আলো-শব্দে অস্বস্তির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। নারীদের মধ্যে এ সমস্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, পানিশূন্যতা, তীব্র আলো, অনিয়মিত খাবার ও ঘুমের অভাব মাইগ্রেনের ঝুঁকি অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। তবে কিছু সতর্কতা মানলে গরমে মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। করণীয় পানি পান: প্রতিদিন অন্তত আড়াই–৩ লিটার পানি পান করুন। বাইরে গেলে পানির বোতল সঙ্গে রাখুন। খাবারে সতর্কতা: কফি, রেড ওয়াইন, চকলেট ও পনির এড়িয়ে চলুন। এর বদলে তরমুজ, শসা, আমসহ গ্রীষ্মকালীন ফল ও শাকসবজি খান। রোদে সুরক্ষা: বাইরে গেলে হালকা রঙের টুপি বা ক্যাপ ব্যবহার করুন। প্রসাধনী ব্যবহার: তীব্র গন্ধযুক্ত পারফিউম বা প্রসাধনী এড়িয়ে চলুন। এসি ব্যবহার: ঘরে এসি থাকলে তাপমাত্রা ২৫–২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখুন। রুটিন মেনে চলা: নিয়মিত সময়মতো ঘুম ও খাবার খাওয়া অভ্যাস করুন। ব্যায়ামে সতর্কতা: প্রচণ্ড গরমে কঠোর ব্যায়াম না করে ঘরে হালকা ব্যায়াম করুন। মানসিক চাপ কমানো: নিয়মিত মেডিটেশন বা মানসিক প্রশান্তির চর্চা করুন। গবেষণাভিত্তিক তথ্য আমেরিকান মাইগ্রেন ফাউন্ডেশন জানায়, প্রতি ৫ জন নারীর মধ্যে ১ জন মাইগ্রেনে ভোগেন; পুরুষদের ক্ষেত্রে এ হার ১৫ জনে ১ জন। ২০২০ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায় মাইগ্রেনের ঝুঁকি ৭৫% পর্যন্ত বাড়তে পারে। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষণায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত পানি পান করলে মাইগ্রেনের আক্রমণ প্রায় ২১% পর্যন্ত কমে। নিয়মিত ৬–৮ ঘণ্টা ঘুম মাইগ্রেনের তীব্রতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। এনএইচ/ |