কেন খাবেন কুমড়ার বীজ?
প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:২৬ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

||নাজমুল হাসান||

কুমড়ার বীজ পুষ্টিগুণে ভরপুর। শরীরের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই ছোট্ট সুপারফুড যুক্ত করলে শরীর পাবে নানা উপকার। চলুন জেনে নিই কুমড়ার বীজের কিছু উপকারিতা—

মানসিক চাপ কমায়

কুমড়ার বীজে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান, যা প্রোটিন উৎপাদনে সাহায্য করে এবং সেরোটোনিন তৈরিতে ভূমিকা রাখে। সেরোটোনিন হলো মস্তিষ্কের একটি রাসায়নিক যা ঘুম ও মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এ ছাড়া কুমড়ার বীজে থাকা ম্যাগনেসিয়াম চাপ ও উদ্বেগ কমাতে কার্যকর।

হাড় মজবুত রাখে

শুধু ক্যালসিয়াম নয়, হাড়ের জন্য ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাসও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কুমড়ার বীজে এই তিনটি পুষ্টিই বিদ্যমান, যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় ও হাড়ের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

কুমড়ার বীজে রয়েছে জিঙ্ক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়। সারা বছর সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকায় কুমড়ার বীজ রাখা যেতে পারে।

হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো

স্বাস্থ্যকর চর্বি, ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কুমড়ার বীজ হৃদযন্ত্রের সুস্থতায় ভূমিকা রাখে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।

ত্বক ও চোখের যত্নে

কুমড়ার বীজে রয়েছে ভিটামিন ই, ক্যারোটিনয়েড ও জিঙ্ক, যা ত্বক ও চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন ই ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখে এবং বার্ধক্যের ছাপ ধীর করে। ক্যারোটিনয়েড দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ও চোখের ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে।

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

উচ্চ প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ কুমড়ার বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি যারা শক্তির ঘাটতি রোধ করতে চান তাদের জন্যও কার্যকর।

এনএইচ/