ফেব্রুয়ারিতে আমরা জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছি: প্রধান উপদেষ্টা
প্রকাশ:
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:২২ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার—এ কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন। জাতিসংঘ সনদের আট দশক পূর্তিতে সব সদস্য রাষ্ট্রকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “গত ৮০ বছরে জাতিসংঘ তার কর্মপরিধি সম্প্রসারিত করেছে এবং বিশ্বশান্তি, মানবাধিকার, উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।” তিনি আরও বলেন, “জাতিসংঘের কারণেই বর্তমানে বিশ্বের ১২০টি দেশের প্রায় ১৩ কোটি মানুষের কাছে জরুরি খাদ্য ও মৌলিক সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। একইভাবে বিশ্বের ৪৫ শতাংশ শিশুকে টিকা প্রদানও সম্ভব হয়েছে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বহুপাক্ষিক সহযোগিতার মাধ্যমে খাদ্য, পানি, স্যানিটেশন ও জীবনরক্ষাকারী সেবা পৌঁছে দিচ্ছে।” ড. ইউনূস স্মরণ করিয়ে দেন, “গত বছর এই মঞ্চে আমি দাঁড়িয়েছিলাম সদ্য গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী একটি দেশের রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করতে। আজ এসেছি সেই রূপান্তরের অগ্রযাত্রার চিত্র তুলে ধরতে।” তিনি বলেন, “প্রতি ১০০ জনে ৩ জন বাংলাদেশে বসবাস করে। ভূ-রাজনৈতিকভাবে দেশের অবস্থান যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এ ইতিহাস সাধারণ মানুষের অসাধারণ সামর্থ্যের প্রতীকও বটে। এই বার্তা বিশ্ববাসীর মধ্যে আস্থা ও আশা জাগাবে যে কোনো সংকটই অতিক্রমযোগ্য।” প্রধান উপদেষ্টা জানান, “আমাদের লক্ষ্য ছিল ক্ষমতার ভারসাম্যপূর্ণ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো তৈরি করা—যেখানে স্বৈরশাসনের পুনরাবৃত্তি হবে না, কোনো নির্বাচিত নেতা গণতন্ত্র ক্ষুণ্ণ করতে পারবে না এবং রাষ্ট্রের রক্ষকরা কখনো ভক্ষকে পরিণত হবে না।” তিনি বলেন, “শাসনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা, দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম ও নারী অধিকারসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য আমরা ১১টি স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠন করেছি। জনমত যাচাই ও গভীর পর্যালোচনার ভিত্তিতে তারা বিস্তারিত সংস্কার কর্মপন্থা সুপারিশ করেছে।” আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। একই সঙ্গে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে আমরা ধারাবাহিকভাবে নাগরিকবান্ধব সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।” এনএইচ/ |