রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর লাদাখের কারগিলে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:৩০ রাত
নিউজ ডেস্ক

রাজ্যের মর্যাদার দাবিতে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের লাদাখ অঞ্চল। বুধবার অঞ্চলের রাজধানী লেহে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রসহ চার জন নিহত হওয়ার পর কার্গিল জেলায়ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, লেহের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) কার্গিল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (কেডিএ) 'কমপ্লিট শাটডাউন' বা 'সম্পূর্ণ বন্ধের' ডাক দিয়েছে। এ দিন সমস্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে দেখা গেছে এবং রাস্তায় মানুষের কোনো চলাচল ছিল না।

এ অবস্থায় প্রশাসন কার্গিল জেলায় লোকজনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই সঙ্গে অভূতপূর্ব সংঘর্ষের পর লেহে জারি হয়েছে কারফিউ।

নিউজ অনএয়ারের খবর অনুসারে, সহিংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ একজন কংগ্রেস কাউন্সিলরসহ ৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়েছে। শান্তি বজায় রাখার জন্য লাদাখজুড়ে পুলিশ, আইটিবিপি এবং সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে।

কার্গিল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স এবং লেহ অ্যাপেক্স বডি (এলএবি) তাদের ৪টি দাবি বাস্তবায়নের জন্য চলমান আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, রাজ্যের মর্যাদা এবং লাদাখের ষষ্ঠ তফসিল।

তারা বলেছে, রাজ্যের মর্যাদা ইস্যুতে বিজেপি সরকার লাদাখের সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা বন্ধ করার পর জনসাধারণের হতাশা প্রকাশ করেছে।

কেডিএ'র সহ-সভাপতি আসগর আলী কারবালাই সরকারের পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, 'ডাইনি শিকার' বন্ধ করা উচিত এবং আলোচনা পুনরায় শুরু করা উচিত।

ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ড. ফারুক আবদুল্লাহও কংগ্রেসের দিকে আঙুল তোলার জন্য বিজেপির সমালোচনা করেছেন এবং লেহে যা ঘটেছে তার দায়ভার নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, লাদাখের মানুষ প্রথমে অহিংস আন্দোলনের গান্ধীবাদী পদ্ধতি অনুসরণ করেছিল। নির্বাচনের সময় বিজেপি নেতারা লাদাখের জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নে কেন্দ্র ব্যর্থ হয়েছে।

লাদাখ স্বায়ত্তশাসিত পাহাড় উন্নয়ন পরিষদ-কার্গিলের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কাউন্সিলর ড. মোহাম্মদ জাফর আখুন লেহের এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। জনসাধারণের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ নিয়ে তিনি উদ্বেগ জানান এবং লাদাখের জনগণের সঙ্গে সম্পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি জনগণকে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার এবং শান্তিপূর্ণ ও অহিংস মত প্রকাশের মাধ্যমের ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

এমএইচ/