জামায়াত আমিরের সঙ্গে চাইনিজ পিপলস ইনস্টিটিউট প্রতিনিধির বৈঠক
প্রকাশ:
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:৫৭ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন চাইনিজ পিপলস ইনস্টিটিউট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স (সিপিআইএফএ)-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রাষ্ট্রদূত মি. ঝৌ পিংজিয়ান। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীতে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চীন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা মি. ঝৌ পিংজিয়ানের সঙ্গে ছিলেন ছয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। এতে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএফএর এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা বিষয়ক বিভাগের পরিচালক মি. ঝাও ইয়োংগুও, পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের নির্বাহী উপপরিচালক ড. ওয়াং শু, একই বিভাগের কর্মকর্তা মিস ঝাং লি, ঢাকায় চীনা দূতাবাসের পলিটিক্যাল ডিরেক্টর মি. ঝাং জিং এবং দূতাবাসের অ্যাটাচে মিস লিউ হোংরু। বৈঠকে জামায়াত আমিরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও মিডিয়া প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান। বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করা হয়েছে। জামায়াত আমির চীনা প্রতিনিধিদের বলেছেন, "বাংলাদেশ ও চীন পরস্পরের উন্নয়ন সহযোগী। আমরা চাই প্রতিবেশী হিসেবে একটি ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে।" তিনি আরও জানান, জামায়াতের ওপর বিগত সরকার আমলে চালানো নির্যাতনের বিষয়েও চীনা প্রতিনিধিদের অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের দলের নিবন্ধন বাতিল, কার্যালয় বন্ধ এবং নেতাদের কারাবন্দি ও হত্যার মতো দুঃখজনক ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।” পরওয়ার আরও জানান, বর্তমান বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, নিরাপত্তা, বাংলাদেশের অর্থনীতি, দুর্নীতি ও ব্যাংক খাতের দুরবস্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। চীনা প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো লুটপাট ও দুর্নীতির কারণে বিপর্যস্ত। পার্টি-টু-পার্টি সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব জামায়াত আমির বৈঠকে আশা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে সরকার-সরকার (জি-টু-জি) এবং দল-দল (পি-টু-পি) পর্যায়ে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে এবং দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ বাড়বে। এমএইচ/ |