জামায়াতের আমির হামযার বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ মুহসীন হল শিক্ষার্থীদের
প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৩:২৫ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

‘গত ১৬ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে আজান দিতে দেয়নি ছাত্রলীগ। এবার ডাকসুতে শিবিরের প্যানেলের বিজয়ের আজান শুরু হয়েছে।’এমন বক্তব্য দিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন জামায়াতে ইসলামীর বক্তা মুফতি আমির হামযা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের শিক্ষার্থীরা তার এই বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে কখনোই আজান বা নামাজে বাধা দেয়নি কেউই।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে হলের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর একটি প্রতিবাদলিপি জমা দেওয়া হয়। এতে মুফতি আমির হামযাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তারা। পরে হল ফটকে সংবাদ সম্মেলন করেন এই শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রদলের সদস্য সচিব মনসুর রাফি বলেন,  জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্যপ্রার্থী মুফতি আমির হামযা দাবি করেছেন ডাকসুতে ছাত্রশিবির বিজয়ের পূর্বে মুহসীন হলে আজান নিষিদ্ধ ছিল। যা সম্পূর্ণ বানোয়াট একটি দাবি। আমাদের আবাসিক হলের নামে এমন মিথ্য বক্তব্য আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে। এতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে শ্রোতাদের মনে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়। আমরা মুহসীন হল শিক্ষার্থীরা এমন মিথ্যা, বানোয়াট ও ধর্মের মোড়কে অসত্য বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এই বক্তব্যের জন্য আমির হামযাকে অবশ্যই প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুজর গিফারী ইফাত বলেন, ঢাক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলাম থেকে অনেক দূরে সেটা বুঝানোর জন্য গত ১৬ বছর আজান দেওয়া হয়নি এমন একটি মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে জামায়াতের এমপিপ্রার্থী আমির হামযা। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হলের সব শিক্ষার্থী এর বিরুদ্ধে আছে। তাকে অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে। সে যদি ক্ষমা না চায় তাহলে আমরা মুহসীন হলের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে পরবর্তি সিদ্ধান্ত জানাবো।

মুহসীন হলের শিক্ষার্থীদের শিবিরের ভিপির খাট দেওয়ার তথ্যও সঠিক নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই খাট শিবির নয়, হল প্রশাসন দিয়েছে। ভিপি শুধু বিতরণ করেছে। কিন্তু সেই ভিপিও শিবিরের নন। তিনি শিবির পরিচয়ে নয়, স্বতন্ত্র পরিচয়ে নির্বাচন করেছিলেন। স্বতন্ত্র পরিচয়ে তারা দাঁড়িয়েছিল বলে ছাত্ররা তাদের ভোট দিয়েছে। এখন কোনো স্বতন্ত্রকে আমরা শিবির হিসেবে মেনে নিবো না।’

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জনি প্রামানিক বলেন, আপনারা খোঁজ নিলেই দেখবেন, বিগত দিনে মুহসিন হলে আজান দিতে বাধা দেওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা সকলে সতস্পূর্তভাবে আমাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করেছি। আমরা আমাদের ধর্ম পালন করেছি।

এমএইচ/