সংবিধান বদলাতে না দিলে আবার গণ-অভ্যুত্থান হবে: সারোয়ার তুষার
প্রকাশ:
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৮:৩৬ রাত
নিউজ ডেস্ক |
![]()
নির্বাচনের আগেই সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। সারোয়ার তুষার বলেন, পরবর্তী নির্বাচন হবে নতুন সংবিধানের অধীনে। সংবিধান বদলাতে না দিলে আবার গণ-অভ্যুত্থান ঘটবে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কেমন সংবিধান চাই?’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন সারোয়ার তুষার। বর্তমান সংবিধান প্রসঙ্গে সারোয়ার তুষার বলেন, ‘এই মুহূর্তে যে বাহাত্তরের সংবিধানটা আছে, এটা একটা মরহুম সংবিধান। কিন্তু আমাদের দেশের স্টাবলিশমেন্ট এটা রাখবেই। রাজা মারা গেছেন, কিন্তু তাঁর মমিটা দেখিয়ে বলা হবে, এটা জীবিত আছে। এই সংবিধান আর নাই।’ বর্তমান সরকার সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের ওপর ভিত্তি করে গঠিত হয়েছে—এটা ধাপ্পাবাজি বলে অভিহিত করেন সারোয়ার তুষার। ১০৬ ধারার মূল বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে বাংলাদেশে, এটার পরে সরকার গঠন করা যাবে কি না সেটার জন্য শেখ হাসিনার রাষ্ট্রপতি তাঁর প্রধান বিচারপতির কাছে রেফারেন্স পাঠাচ্ছেন, যে বিচারপতি তখন পলাতক। সেই রেফারেন্সের ভিত্তিতে এই সরকার গঠিত হয়েছে। মহা ধাপ্পাবাজি। এর চেয়ে বড় ধাপ্পাবাজি আর হতে পারে না।’ এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, ‘সেই ১০৬-এর সার্টিফায়েড কপিটা কই, আমরা দেখতে চাই। কপিটা দেখান। আমাদের একটা ভীষণ বিপদের মধ্যে আপনারা নিয়ে যাচ্ছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো মুহূর্তে যে কাউকে দিয়ে এই সরকারের আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলানো হবে। ১০৬-এর সার্টিফায়েড কপিটা আসলে কোথায়? কোনো শুনানি হয়নি। ১০৬-এর একটা বাধ্যবাধকতা আছে যে শুনানি হতে হবে। আপনারা কেউ শুনানির কথা শুনেছেন?’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের উদ্দেশে সারোয়ার তুষার বলেন, ‘তিনি আইনের সমস্ত ধারা-উপধারা সব মুখস্থ করে ফেলছেন। আমি হয়তো আপনার মতো অত ধারা-উপধারা জানি না, আমার জানার দরকার নাই। গুগল সার্চ করলে আমি দেখতে পারি কোন ধারায় কী আছে। আমরা যে পদ্ধতিগত সমস্যাগুলোর কথা বলছি, এগুলো কি আপনারা জানেন না? অনেকে বলে, এই কমিশন হয়ে গেছে সালাহউদ্দিন কমিশন। সে রকম যেন না হয়।’ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, নতুন করে সংবিধান লিখতে হবে। পুরোনো সংবিধানে এত পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইনি ভিত্তি থাকতে হবে। শুধু অঙ্গীকার দিয়ে মুখের কথায় এটা বাস্তবায়ন হবে না। এমএইচ/ |