রাষ্ট্র সংস্কারের মূল লক্ষ্য—ন্যায়, সমতা ও জনকল্যাণ প্রতিষ্ঠা
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:০৪ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

মাওলানা মুহাম্মাদ হাদিউজ্জামান

‎রাষ্ট্র জনগণের সেবক, জনগণের মালিক নয়। অথচ বাস্তবতায় দেখা যায়—রাষ্ট্রযন্ত্র অনেক সময় জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়। দুর্নীতি, বৈষম্য, অন্যায় ও জবাবদিহির অভাব যখন বেড়ে যায়, তখন রাষ্ট্রে সংস্কারের প্রয়োজন অনিবার্য হয়ে ওঠে।

‎রাষ্ট্র সংস্কারের প্রথম শর্ত হলো স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা। জনগণের ম্যান্ডেটের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকলে আস্থা ভেঙে যায়।

‎এরপর প্রয়োজন নিরপেক্ষ ও দ্রুত বিচারব্যবস্থা। বিলম্বিত বিচার জনগণের ন্যায়বিচারের অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করে।
‎একইসাথে অর্থনীতিকে করতে হবে সুষম ও উৎপাদনমুখী। ধনী-গরিব বৈষম্য কমানো ছাড়া উন্নয়ন কেবল কাগুজে অর্জন হয়।

‎শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে প্রয়োজন মৌলিক সংস্কার—যেখানে নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ ও দক্ষতা একসাথে বিকশিত হবে।
‎এছাড়া সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যাতে প্রত্যেক নাগরিক সমান মর্যাদা ও অধিকার ভোগ করতে পারে।

‎পররাষ্ট্রনীতিতে আত্মমর্যাদা রক্ষা জরুরি, যাতে রাষ্ট্র অন্যের আধিপত্যে না পড়ে বরং মর্যাদাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে।

‎রাষ্ট্র সংস্কারের মূল লক্ষ্য একটাই—ন্যায়, সমতা ও জনকল্যাণ প্রতিষ্ঠা। জনগণই রাষ্ট্রের মালিক, আর রাষ্ট্রের প্রকৃত দায়িত্ব জনগণের সেবক হয়ে থাকা। এই সত্য প্রতিষ্ঠিত হলেই রাষ্ট্র হবে কল্যাণ ও শান্তির আশ্রয়স্থল।

‎লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস শ্রীপুর উপজেলা

এমএইচ/