যুগান্তকারী গ্রন্থ ‘মাকতুবাতে শায়খুল ইসলাম’-এর মোড়ক উন্মোচন
প্রকাশ:
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:০১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
রাজধানী রামপুরায় সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হলো যুগান্তকারী গ্রন্থ ‘মাকতুবাতে শায়খুল ইসলাম’-এর মোড়ক উন্মোচন। ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়াতুল আসআদ আল-ইসলামিয়া এবং মাদানী মজলিস বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে এ মহতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘মাকতুবাতে শায়খুল ইসলাম’ গ্রন্থটি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রনায়ক, দাওয়াহ ও আধ্যাত্মিকতার অনন্য আলোকবর্তিকা শায়খুল ইসলাম সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী রহ.-এর অমূল্য নির্বাচিত পত্রাবলির সংকলন। গ্রন্থটি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছেন ফিদায়ে মিল্লাত সায়্যিদ আসআদ মাদানী রহ. এর সুযোগ্য খলিফা, প্রখ্যাত আলেমের দ্বীন ও শায়খে ত্বরিকত আল্লামা মুফতী হাফীজুদ্দীন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিশিষ্ট আলেম দ্বীন কায়েদে মিল্লাত সায়্যিদ মাহমুদ মাদানী-এর সাহেবজাদা হযরত মাওলানা সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী। উক্ত মাহফিলের সভাপতিত্ব করেন জামিয়া শারইয়্যাই মালিবাগ-এর ভাইস-প্রিন্সিপাল শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতী হাফীজুদ্দীন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য দেন শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফতী হাফীজুদ্দীন। তিনি তাঁর আলোচনায় বলেন, ‘মাকতুবাতে শায়খুল ইসলাম কেবল একটি পত্রসংকলন নয়, বরং যুগযুগান্তরের জন্য প্রাসঙ্গিক দিকনির্দেশনা। হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. তাঁর চিঠিপত্রে দ্বীনের খেদমত, আধ্যাত্মিকতা, সমাজ সংস্কার, রাষ্ট্রচিন্তা এবং উম্মাহর কল্যাণের অসংখ্য দিক উন্মোচন করেছেন। আমাদের বর্তমান সমাজে যে ভ্রান্তি, যে সমস্যাগুলো ঘিরে রেখেছে - সেসবের সমাধানও এই গ্রন্থে সুস্পষ্টভাবে আলোচিত হয়েছে।” তিনি এ কথাও উল্লেখ করেন যে, নতুন প্রজন্মের জন্য এ গ্রন্থ হবে এক নির্ভরযোগ্য পথনির্দেশিকা। পরে আলোচনা করেন ভারতের বিশিষ্ট আলেম, সম্মানিত মেহমান কায়েদে মিল্লাতের সাহেবযাদা মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী। তিনি শায়খুল ইসলাম হযরত হুসাইন আহমদ মাদানী রহ.-এর জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তাঁর আলোচনা থেকে শ্রোতারা জানতে পারেন, কীভাবে শায়খুল ইসলাম রহ. একাধারে ছিলেন মুফাসসির, মুহাদ্দিস, মুজাহিদ ও আধ্যাত্মিক মুরব্বী। তিনি শুধু কিতাবের পৃষ্ঠায় সীমাবদ্ধ থাকেননি, বরং বাস্তব জীবনে সংগ্রামের মাধ্যমে ইসলামকে বিজয়ের পথে এগিয়ে নিয়েছেন। সায়্যিদ হযরত হুসাইন মাদানী বলেন, ‘আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো - ইলমকে সমাজের মঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত করা এবং আল্লাহর পথে কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকারে অটল থাকা।’ অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত আলেম-উলামা, গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সমাজসেবী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচনের মুহূর্তে দোয়া করেন এবং এটিকে ইসলামী দাওয়াহ ও জ্ঞানের এক নতুন দ্বার বলে অভিহিত করেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে দোয়া পরিচালনা করেন ভারত থেকে আগত সম্মানিত মেহমান হযরত সায়্যিদ হুসাইন আহমদ মাদানী। আরএইচ/ |